নাটোর: তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আগামী দিনে বিশ্বে নেতৃত্বের জন্য এখনই চিন্তা করতে হবে। তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্ব গুণের উদ্ভাবন ও বিকাশের লক্ষ্যে বাংলাদেশে তৈরী হবে আন্তর্জাতিক মানের বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান ‘সেন্টার ফর লিডারশিপ’। এটি বাস্তবায়ন হলে ভার্চুয়াল যোগাযোগ ও নেতৃত্ব তৈরীতে বিজ্ঞান, প্রেকৌশল, প্রযুক্তি ও ভাষা বিষয়ে বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ পাবে তরুণ-তরুণীরা। প্রাথমিকভাবে রাজধানী ঢাকার সাথে নাটোরের সিংড়ায় কার্যক্রম শুরু হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বুধবার সকালে নাটোর-বগুড়া মহাসকের সিংড়া শেরকোলে ১৫৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে জেলা পর্যায়ে হাইটেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে স্থানীয় দমদমা পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ চত্বরে নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার সময় এসব কথা বলেন।
দেশে প্রযুক্তির বিকাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের অবদানের কথা তুলে ধরে পলক বলেন, ‘ তারা ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন বলেই আজ দেশের মানুষের হাতে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ দরিদ্র দেশের কাতার থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছ। অথচ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদি বেঁেচ থাকতেন তবে দেশ অনেক আগেই সোনার বাংলায় পরিণত হতো।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রুপান্তরের বিকল্প নেই জানিয়ে পলক বলেন,‘ এখন দরকার সৃজনশীলতা আর উদ্ভাবনীশক্তি। এ দুয়ের ব্যবস্থা সরকার করে দিচ্ছে প্রযুক্তিখাতে বিভিন্ন বিনোয়োগের মাধ্যমে সুবিধাদি বৃদ্ধি করে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর প্রযুক্তিজ্ঞান থাকতে হবে। প্রযুক্তি উপেক্ষা করে চলা যাবে না।
নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন,‘শুধু প্রতিষ্ঠিত হবার জন্য নয়, নেতৃত্বদানের জন্য এখনই নিজেদের তৈরী করতে হবে। সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে থেকে একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি প্রযুক্তিজ্ঞান অর্জনে মনোনিবেশ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হৃদয়ে ধারণ করে নিজেদের নৈতিক জ্ঞানসম্পন্ন তৈরী করতে হবে।
সিংড়ায় দমদমা পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হোসনে আরা বেগম, জেলা পর্যায় হাইটেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দ মেহদী হাসান, উপ-পরিচালক কামরুল হাসান, জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো, জনসংযোগ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া, দমদমা পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন আনু প্রমুখ।
উল্লেখ্য, হাইটেক পার্কটি স্থাপিত হলে সিংঢ়া উপজেলায় আড়াই হাজার তরুণ-তরুণী আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবে। ২০২০ সালের জুন মাসে প্রকল্পটি শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।