নাটোর অফিস॥
নাটোরে বিয়ে হওয়ার ২১ দিন পর আলো খাতুন (১৯) নামে এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। ঈদুল ফিতরের পরদিন আলোর মতামত উপেক্ষা করে তার বাবা-মা তাকে বিয়ে দেন । মঙ্গলবার (২৪ মে) রাতে নাটোরের সিংড়া উপজেলার বামিহাল গ্রামের নিজস্ব শয়ন কক্ষ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
আত্মহননকারী আলো খাতুন বামিহাল গ্রামের আইয়ুব আলীর মেয়ে। সে ২০২১ সালে বামিহাল রহমত ইকবাল অনার্স কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঈদুল ফিতরের পরদিন গত ৪ মে আলো খাতুনের মতামত উপেক্ষা করে রাজশাহী পুঠিয়ার ঝলমলিয়া গ্রামের এক বিকাশ এজেন্ট ম্যানেজারের সঙ্গে বিয়ে দেন বাবা-মা। বিয়ে সম্পন্ন হলেও আলো খাতুন তার বাপের বাড়িতেই ছিলেন।
এরপর মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে তার শয়ন ঘরে আলো খাতুনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।
সিংড়া থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছেন এখন পর্যন্ত সঠিক কোন তথ্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওসি।