নাটোর: প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বিদ্যোৎসাহী সদস্য নির্বাচনে নাটোরে সাক্ষাতকার নেয়া হচ্ছে। সাক্ষাতকার দিয়ে নিজেকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে না অন্তভূক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও আড়বাব ইউিনয়নের চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী। মঙ্গলবার সকালে নাটোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে সাক্ষাৎকার নেয়া দেখে ক্ষুদ্ধ হয়ে তিনি ফিরে যান। এ ঘটনায় তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট দিলে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়।
তিনি পোস্টে বলেন, সাক্ষাতকার এবং সাক্ষাতকারের জন্য অপেক্ষমান বিদ্যোৎসাহী ও অন্যান্য খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গ,যাঁরা সাক্ষাতকারের জন্য সরকারী কার্যালয়ের বারান্দায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। কোন চাকরী বা পদন্নোতির জন্য নয়,প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে যাঁরা বিশেষ অবদান রেখেছেন তাঁদের শ্রেষ্ঠত্ব যাচাইয়ের সাক্ষাতকার।আমাকেও প্রার্থী হিসাবে সেখানে হাজির হতে বলা হয়েছিল। উপস্থিত হয়ে যখন জানলাম সাক্ষাতকার দিয়ে শ্রেষ্ঠ বিদ্যোৎসাহী নির্বাচিত হতে হবে তখন এই ব্যাবস্থা বা প্রক্রিয়ার প্রতি কতটা ঘৃণা জন্মালো জানিনা তবে নিজের প্রতি ঘৃণায় বমনের উদগিরণ হবার উপক্রম হল।সাক্ষাৎকার না দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করলাম। জানিনা ভবিষ্যতে স্বাধীনতা পদক বা একুশে পদক প্রদানের ক্ষেত্রেও এমন পদ্ধতি চালু হবে কি না! এ সিস্টেম যাঁরা চালু করেছেন তাঁরা কি জানেন বিখ্যাত ফরাসি দার্শনিক, সাহিত্যিক যাঁ পল সাঁত্রে সহ অনেক জগৎবিখ্যাতরা বিশ্বের সেরা পুরস্কার নোবেল প্রত্যাখান করেছিলেন!
এ ব্যাপারে ইসাহাক আলী বলেন, সাক্ষাতকার দিয়ে কোনদিন বিদ্যোৎসাহী সদস্য হবো না। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এ ধরণের প্রক্রিয়া রীতিমতো লজ্জাজনক। এটি অপমানের শামিল।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এরশাদ উদ্দীন আহমেদ বলেন, বিদ্যাৎসাহী সদস্য নির্বাচনে এটি মন্ত্রণালয় নির্ধারিত প্রক্রিয়া। এর ব্যত্যয় ঘটানোর সুযোগ নেই।