চাঁদা না দেয়ায় ঠিকাদার সজলকে কুপিয়ে জখম

নাটোর অফিস॥
নাটোরে চাঁদা না দেয়ায় আহমেদুল হক সজল (৩৯) নামে এক ঠিকাদারকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে আহত করেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শহরের উত্তর চৌকিরপাড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহত সজলকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ঠিকাদার আহমেদুল হক সজল শহরের আলাইপুর এলাকার প্রয়াত সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আমিনুল হক গেদুর ছেলে।
পুলিশ ও ঠিকাদার সমিতি সুত্রে জানাযায়, পৌসভার অধীন রানী ভবানী রাজবাড়ি হতে উত্তর চৌকিরপাড় এলাকার একটি রাস্তায় পিচ কার্পেটিংয়ের কাজ চলছিল।ওই কাজের ঠিকাদার আহমেদুল হক সজল কাজটি করছিলেন। এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী আজিজুর রহমান ওরফে জামাই আজিজ ও তার ছেলে আশিকুর রহমান ওই কাজ শুরু করার পর থেকেই ঠিকাদার সজলের কাছে চাঁদা দাবী করে আসছিল। মঙ্গলবারও তারা সজলের কাছে চাঁদা দাবী করে। সজল চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা বাপ-বেটা দুজনে মিলে সজলের ওপর চড়াও হয় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। সজলের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে গিয়ে সজলকে উদ্ধার করে। এসময় এলাকাবাসী সন্ত্রাসী আজিজ ও তার ছেলেকে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করলে পুলিশ তা;েদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তারা দুজনই পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় আজিজ চাঁদা দাবীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,রাস্তার কাজ নি¤œমানের হওয়ায় তিনি প্রতিবাদ করেছেন শুধু। কোন চাঁদা দাবী করেননি। সজলকে কারা মেরেছে তিনি জানেননা।
ঠিকাদার সজলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন জেলা ঠিকাদার সমিতির নেতৃবৃন্দ।
জেলা ঠিকাদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল রাজা সাংবাদিকদের বলেন, ঠিকাদার সজলের উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্টমুলক শাস্তি দিতে হবে। নইলে সকল নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি করেন।
এদিকে ঠিকাদার সজলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার খবর পেয়ে পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি সদর হাসপাতালে ছুটে যান এবং সজলের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। এঘনার জন্য জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার সহ দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান।এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন,এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার না হলে পরবর্তীতে পৌরসভার উন্নয়নমুলক কাজ বন্ধ হয়ে যাবে বলে শংকা প্রকাশ করেন।
নাটোর সদর থানার ওসি নাছিম আহমেদ বলেন,ঘটনার খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থল সহ সদর হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়। গণপিটুনিতে আহত দুজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

 

 

 

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *