জালাল উদ্দিন ,গুরুদাসপুর অফিস ॥.
কখনো হালকা রোদ, কখনো মেঘের লুকোচুরি। মেঘ ও হালকা রোদের কারনে খুব একটা প্রভাব পড়েনি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। কচি-কাঁচাদের হৈ হুল্লোড়ে মুখর ছিল আনন্দনগর শিশুপার্ক, বিলশা মা জননী সেতু, পৌর সদরের গাড়িষাপাড়া ওভারব্রিজ, চাচাকৈড় আনন্দ সিনেপেক্সসহ সবগুলো বিনোদনকেন্দ্র। পথে পথে ছিল তারুণ্যের উচ্ছ্বাস। ঈদের আনন্দ আরেকটু বাড়াতে সব বয়সী মানুষই যাচ্ছেন বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে। ঈদের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকেই আনন্দনগর শিশুপার্ক ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঢল নামে নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরের। ঈদের দিন সকাল থেকেই মানুষের ঢল নামে পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। গতকাল ঈদের দিন উপজেলার এসব পার্কে ও বিনোদন কেন্দ্রে মানুষের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন নিরিবিলি এলাকায় মনোরম পরিবেশে সময় পার করেন অনেকেই।
মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, ভুটভুটি, অটোভ্যান,নসিমন,করিমনযোগে বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে গিয়ে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও স্বজন্দের সাথে সময় আনন্দময় মুহুর্ত অতিবাহিত করেন।
কিশোর-কিশোরি, যুবক-যুবতিসহ প্রায় সকলেই ব্যস্ত ছিলো ভিন্ন ভঙ্গিতে ছবি উঠতে।
আনন্দনগর শিশুপার্কে আসা শিশুরা জানায়, প্রতিদিন স্কুল-কোচিং শেষে বাড়িতে পড়াশোনার মধ্যেই থাকতে হয়। আব্বু-আম্মু ব্যস্ত থাকায় তাদের বললেও কোথাও নিয়ে যায় না। ঈদে সবার ছুটি থাকায় পার্কে বেড়াতে এসেছি। আমাদের খুব ভালো লাগছে। ঘুরতে আসা মামুন, রাব্বি, সালমান, শফিকুল, আমজাদ, তারেকসহ কয়েকজন অভিভাবক জানান, কর্মব্যস্ত জীবনে শিশুসন্তাদের নিয়ে কোথাও বের হওয়ার ইচ্ছে থাকলেও হয়ে ওঠেনা। ছুটি পেলেও বিনোদন কেন্দ্রের অভাবে ছেলেমেয়েকে নিয়ে কোথাও যাওয়া হয়না। ছেলেমেয়ের আবদারে এখানে আসতে হয়েছে।
মা জননী সেতুতে আসা দর্শনার্থী রেশমা খাতুন জানান, ঈদের ছুটির এক দিনের জন্য স্ব-পরিবারে ঘুরেতে এসে ভিন্ন ধরনের আনন্দ পাচ্ছি। সব মিলিয়ে ঈদ বিনোদন বেশ জমে উঠেছে এ বছর।