জাগোনাটোর রিপোর্ট:
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় প্রকাশ্যে রাস্তার ওপর এক নারীকে বিবস্ত্র করে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে নাজিরপুর ইউনিয়ন আ’লীগ কর্মী জাহাঙ্গীর(২৭)’র বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী নারী বর্তমানে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে অভিযুক্ত যুবকের ভাই,নাজিরুপুর ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী মারপিটের সত্যতা স্বীকার করলেও বিবস্ত্র করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
(ভুক্তভোগী সাথীয়া বেগম সাথী নাজিরপুরের দুধগাড়ি এলাকার সাইজুর আলীর মেয়ে ও নাটোর সদর উপজেলার দত্তপাড়া গ্রামের আফাজ প্রামানিকের স্ত্রী।)
নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভুক্তভোগী(সার্থীয়া বেগম সাথী-৩৩) দাবী করেন, বেশ কিছুদিন থেকে জাহাঙ্গীর তাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো। সম্প্রতি সে আবারও একই প্রস্তাব দেয়। বরাবরের মতই তিনি প্রস্তাবটি প্রত্যাখান করায় জাহাঙ্গীর তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। গত শুক্রবার দুপুরের দিকে তিনি গ্রামের রাস্তা দিয়ে বাবার বাড়ির দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এসময় জাহাঙ্গীর তাকে পিছন থেকে জাপটে ধরে। ধ্বস্তাধ্বস্তির এক পর্যায়ে সে তার পড়নের শাড়ি টেনে খুলে ফেলে। এসময় চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকলে জাহাঙ্গীল লাঠি দিয়ে তাকে এলোপাথারি মারপিট করে। ঘটনার আকষ্মিকতা আর আঘাতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
ভুক্তভোগীর স্বামী (আফাজ উদ্দিন) জানান, প্রভাবশালী হওয়ায় জাহাঙ্গীরদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। এঘটনায় তিনি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও দাবী করেন।
বিষয়টি সম্পর্কে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্তর ভাই, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, ইউনিয়ান আওয়ামীলীগ সভাপতি আইযুব আলী মারপিট করার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভুক্তভোগী নারী তাদের পরিবারেরই একজন, তার জেঠাতো বোন। পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে জাহাঙ্গীর তাকে মারপিট করেছে।
তবে বিবস্ত্র করার অভিযোগ সঠিক নয় দাবী করে তিনি জানান, উদ্যেশ্য প্রণোদিত ভাবে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে এই অপবাদ দেয়া হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে আইয়ুব আলী জানান, নারীকে মারপিট করে জাহাঙ্গীর নি:সন্দেহে অপরাধ করেছে। বিষয়টি জানার পর তিনি শনিবার বিকেলে নাটোর সদর হাসপাতালে গিয়েছিলেন। ভুক্তভোগীর চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তিনি আরো দাবী করেন, জাহাঙ্গীরের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির নিশ্চয়তাও দেওয়া হয়েছে ভুক্তভোগী ও তার স্বামীকে।
গুরুদাসপুর থানার ওসি দিলীপ কুমার জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। তবে এব্যাপারে কোন অভিযোগ বা মামলা দায়ের হয়নি। দায়ের হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।