নাটোর অফিস ॥
নাটোরের বড়াইগ্রামে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী মোঃ শাহীন মন্ডলকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ শরীফ উদ্দিন এই রায় দিয়েছেন।
আদালত সুত্রে জানাযায়, নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া কালিকাপুর এলাকার আফছার মিয়াজীর মেয়ে চাম্পা খাতুনের(২৫) সাথে ২০১৫সালে একই উপজেলার তেলো পশ্চিমপাড়া গ্রামের রইস উদ্দিন মন্ডলের ছেলে শাহীন মন্ডলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য চাম্পাকে নির্যাতন করতে থাকে স্বামী সহ শশুর বাড়ির লোকজন। বিয়ের ছয় মাস পর ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারী সকালে স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের জন্য চাম্পাকে নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে চাম্পার গলা কেটে হত্যা করার পর তারা মৃত অবস্থায় ঘরের মধ্যে ফেলে রেখে স্বামী,শমুর,শাশুড়ি সহ বাড়ির অন্যরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে চাম্পার বাবা সহ এলাকাবাসী শশুর বাড়িতে গিয়ে চাম্পাকে মৃত অবস্থায় স্বামী শাহীন মন্ডলের ঘরে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর মর্গে প্রেরণ করে। এব্যাপারে আফছার মিয়াজী বাদি হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় চাম্পার স্বামী শাহীন মন্ডল,শশুর রইস মন্ডল ও শাশুড়ি রমেসা বেগম সহ অজ্ঞাত আরো ৪জনকে আসামী একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ শুধুমাত্র চাম্পার স্বামী শাহীন মন্ডলের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করে। তদন্তে শশুর ও শাশুড়ি সহ অন্যদের সম্পৃক্ততার না থাকায় তাদের অব্যাহতি দিয়ে চাম্পার স্বামী শাহীন মন্ডলের বিরুদ্ধে চার্জশীট দেয় পুলিশ। মামলাটি বিচারের জন্য অত্র আদালতে প্রেরিত হলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ শরীফ উদ্দিন স্বাক্ষ্য প্রমান শেষে সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় স্বামী শাহীন মন্ডলকে উল্লেখিত দন্ডে দন্ডিত করেন।
আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটার আরিফুর রহমান রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দন্ডিত আসামীর উপস্থিতিইে রায় ঘোষনা করেন বিচারক। রায়ে আসামী শাহীন মন্ডলকে যাবজ্জীবন সহ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরো ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেছেন বিচারক।