নাটোর অফিস॥
পুকুর খননের মাটি বহনের কারনে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা জুড়ে সকল পাকা সড়ক মাটি -কাদায় পরিপুর্ন হয়ে গেছে।আজ ভোর রাতের বৃষ্টিতে দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে উপজেলার প্রায় ১০টি পাকা সড়কে। জনসাধারনের চলাচলে ঝুঁকিপুর্ন হয়ে পড়ে। এসব সড়কে দিনভর ছোটখাটো দুর্ঘটনা শিকার হতে হয়েছে পথচারিদের। স্থানীয়দের অভিযোগ,পুকুর খননের মাটি ড্রাম ট্রাক বা ট্রাক্টরের মাধ্যমে উপজেলার বিভন্ন পিচঢালা পাকা সড়ক দিয়ে বহন করা হয়। মাটি বহনকারী এসব যান বেপরোয়া গতিতে যাওয়ার সময় মাটি সড়কগুলোতে পড়ে থাকে। সামান্য বৃষ্টিতে সড়কগুলো এসব মাটি কাদায় পরিপুর্ন এবং পিচ্ছিল হয়ে পড়েছে। এসময় ছোট ছোট যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপুন্ন হয়ে পড়ে। পথচারিরাও পথ চলতে গিয়ে পিছলে পড়ে যান। ভোর রাতের বৃষ্টিতে বনপাড়া হাটিকুমরুল মহাসড়কের হাজিরহাট থেকে কাছিকাটা বিশ্বরোড মোড়, কাছিকাটা থেকে চাঁচকৈড়, আনন্দনগর থেকে খুবজিপুরসহ উপজেলার কমপক্ষে ১০টি সড়ক মাটি -কাদায় পরিপুন্ন হওয়ায় এসব সড়কে চলাচল ঝুঁকিপুর্ন হয়ে পড়েছে। হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ার কারনে আজ বুধবার সকাল থেকেই বেশ কয়েকটি দূর্ঘটনাও ঘটেছে এসব সড়কে।
কাছিকাটা সড়কের পাশের বাসিন্দারা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে মাটি ব্যবসায়ীদের কারনে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ। বৃষ্টি হওয়ায় কাদায় পরিপুন্ন পাকা সড়কে পাঁয়ে হেটেও চলাও সম্ভব হচ্ছে না। দেখে বোঝার উপায় নেই এসব সড়ক পিচঢালা পাকা রাস্তা। বুধবার সকাল থেকে এসব সড়কে ছোট খাটো একাধিক দূর্ঘটনা ঘটেছে। পাকা সড়কের এই বেহাল দশার কারনে এলাকায় সমলোচনা ঝড় বইছে। ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী পাকা সড়কের ওপর জমে থাকা মাটিতে ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদ জানায়।
আব্দুস সোবাহান নামে এক ট্রাক চালক জানান, রাস্তায় কাদার জন্য খুবি ধীর গতিতে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। এছাড়াতো কোন উপায় নেই।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তমাল হোসেন জানান,জনদুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।