নাটোর অফিস ॥
নাটোরের গুরুদাসপুরের একটি মাদরাসা থেকে অন্তর (২০) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত দুই হত্যাকারীকে আটক করেছে র্যাব। এরশাদ আলী ওরফে আকাশ সুইপার (৩৪) ও রিপন সরকার (৩২) নামে ওই দুইজনকে মঙ্গলবার ভোর রাতে সিরাজগঞ্জ ও চাটমোহর এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা যুবক অন্তরকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। মঙ্গলবার সকালে র্যাব-৫ নাটোরক্যাম্পে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাবের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব তথ্য জানানো হয়।
র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শাহরিয়াজ প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, মাদক ব্যবসায় দ্বন্দ্বের জেরে অন্তরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। নিহত অন্তর এবং হত্যাকারী রিপন সরকার ও এরশাদ আলী ওরফে আকাশ সুইপার মহেলা বাজার রেলওয়ে ষ্টেশন চাটমোহর এলাকায় একসাথে বসবাস করত এবং তিনজনই মাদকসেবী ছিল। এদের মধ্যে রিপন সরকার বাজারে জিলাপীর ব্যবসার আড়ালে মাদক ব্যবসা করতো। তার সহযোগী হিসেবে অন্তর ও এরশাদ আলী ওরফে আকাশ সুইপার কাজ করতো। এই মাদক ব্যবসা নিয়ে অন্তরের সাথে রিপনের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এরই জেরে গত ১৬ এপ্রিল অন্তরকে ডেকে নিয়ে গুরুদাসপুর থানার উদয়বাড়ীয়া ধারাবারিষা এলাকায় আসে এবং উদয়বাড়ীয়া মাদ্রাসার বারান্দায় বসে চোলাই মদের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে খাইয়ে দেয়। পরে অন্তরকে তার গায়ের জামা খুলে গলায় পেঁচিয়ে দুজন দুদিক থেকে টেনে ধরে শ্বাসরোধে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর অন্তরের সেই কালো রংয়ের জামা এরশাদ আলী ওরফে আকাশ সুইপার তার বালতির মধ্যে নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। আটক রিপন সরকার পাবনার চাটমোহর পাটচাটরা গ্রামের আকবর সরকারের ছেলে এবং এরশাদ আলী ওরফে আকাশ সুইপার নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার গোপালবাটি গ্রামের মৃত তাছের উদ্দিনের ছেলে। এই দুজনই বর্তমানে গুয়াখাড়া বাজারের চাটমোহর মহেলা স্টেশন এলাকায় বসবাস করে। পরে আটককৃতদের গুরুদাসপুর থানায় সোপর্দ করা হয়।