নাটোর অফিস ॥
নাটোরে পিতৃপরিচয় সনাক্ত ও দ্রুত ডিএনএ টেস্টের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে শংকরভাগ গ্রামে আদিবাসী জনগোষ্ঠি। সোমবার দুপুর ১২টায় এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মৃত মনোরঞ্জন তেলীর ছেলে পরেশ তেলী জানান, অখিল চন্দ্র তেলী নামে এক ব্যক্তি নিজেকে মনোরঞ্জন তেলীর ছেলে হিসেবে দাবি করে সম্পত্তি দাবি করছেন। এনিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে। কিন্তু তৎকালীন প্রবীণ, বয়োবৃদ্ধ নারী-পুরুষ সবাই জানেন, অখিল তেলী মনোরঞ্জনের ছেলে নয়। এমনকি মনোরঞ্জন তেলী মারা যাওয়ার পরেও অখিল পিতৃশ্রাদ্ধসহ অন্যান্য সামাজিক রীতি নীতি পালন করেননি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত তেলী ও পাহান সম্প্রদায়ের গ্রাম প্রধানগণের মধ্যে খেদন পাহান ও বেলাল তেলী বলেন, মুক্তিযুদ্ধেরও আগে নাটোরের শংকরভাগ গ্রামের মনোরঞ্জন তেলী আসো বালাকে বিয়ে করেন। সংসার যাপনের দুই দিন পর মনোরঞ্জন জানতে পারেন যে, তার স্ত্রী অন্তসত্বা। এনিয়ে অনেক সালিশী বৈঠকের পর মনোরঞ্জন তার স্ত্রী আসো বালাকে ত্যাগ করেন। পরে প্রতিবেশী এক লোকের বাড়ীতে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন আসো বালা। পরবর্তীতে মিষ্ট পাহান নামের এক ব্যক্তির সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ালে তার প্রায় ৫ বছর পরে আসো বালার গর্ভে জন্ম হয় অখিল তেলীর। এই অবস্থায় অখিল তেলীর সঠিক পিতৃপরিচয় ও দ্রুত ডিএনএ টেস্টের দাবি জানান বক্তারা।
এই সংবাদ সম্মেলনে মনোরঞ্জন তেলীর পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং তেলী ও পাহান সমাজের প্রধানসহ আদিবাসী জনগোষ্ঠির শতাধিক নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অখিল চন্দ্র তেলী বলেন, ছোটবেলা থেকেই তিনি পিতা হিসেবে মনোরঞ্জন তেলীর নাম ব্যবহার করে আসছেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে এক সালিশে মনোরঞ্জন তেলীকেই তার বাবা হিসাবে তার পক্ষে রায় প্রদান করা হয়েছে। এখন সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতেই পিতৃ পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।