নাটোর অফিস॥
নাটোরের বড়াইগ্রামে মাত্র আধা কিলোমিটারের মধ্যে দুটি ব্রিজ থাকা স্বত্ত্বেও ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে তৃতীয় আরেকটি ব্রিজ নির্মাণ কাজ চলছে। নির্মাণাধীন ব্রিজের উভয় পাশে চলাচলের কোন রাস্তা নেই। উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়নের জোয়াড়ী বাজার ও নটাবাড়িয়া মন্ডলপাড়ার মধ্যবর্তি বড়াল নদীতে এমন অপ্রয়োজনীয় ব্রিজ নির্মাণ চলছে। এতে বিস্ময় প্রকাশের পাশাপাশি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন স্থানীয়রা। একই সাথে অপ্রয়োজনীয় ব্রিজ নির্মাণ বন্ধের লক্ষ্যে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের রাজশাহীর নির্বাহী পরিচালক ও ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট দপ্তর সুত্রে জানা যায়, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বড়াইগ্রাম কার্যালয়ের অধীনে জোয়াড়ী এলাকায় ৫০ ফুট দীর্ঘ একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ৪২ লাখ টাকা ব্যয় বরাদ্দে নওগাঁর ঠিকাদার মসলেম উদ্দিন এর নির্মাণ কাজ করছেন। বুধবার সরেজিমনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজটির বেইজ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এক পাশে কিছু ইট, পাথর, বালি ও সিমেন্ট জড়ো করে রাখা হয়েছে। নির্মাণাধীন ব্রিজের উত্তরাংশে পায়ে হাঁটা একটি সরু রাস্তা থাকলেও দক্ষিণাংশে কোন রাস্তার অস্তিত্ত্ব নেই। এ পাশে প্রায় ৮০ বিঘা জমিতে অর্ধশত বছরের পুরনো আম বাগানসহ নদীর তীর ঘেঁষে কলাবাগান ও কয়েকটি পরিবারের বসত বাড়ি রয়েছে। অথচ এমন রাস্তাবিহীন স্থানে চলছে ব্রিজ নির্মাণ কাজ।
জোয়াড়ী গ্রামের আনিসুর রহমান জানান, যেখানে ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে, তার উভয় পাশে মাত্র আড়াই শ’ মিটার দুরে জনসাধারণের চলাচলের জন্য দুটি ব্রিজ রয়েছে। এখানেই আবার সরকারী টাকা ব্যয় করে অপ্রয়োজনে আরেকটি ব্রিজ নির্মাণ করার কোন দরকার নেই।
নটাবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জনসাধারণের চলাচলের জন্য পাশাপাশি দুটি ব্রিজ থাকার পরও অপরিকল্পিত ভাবে রাস্তাবিহীন আরেকটি ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। এখানে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে কেউ রাস্তাও দেবে না। ফলে এ ব্রিজ নির্মাণ সরকারী টাকার অপচয় ছাড়া কিছুই না।
এ বিষয়ে বরেন্দ্র উন্নয়ন বহুমুখী কর্তৃপক্ষের বড়াইগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্থাণীয়দের দাবীর প্রেক্ষিতে ব্রিজটি নির্মাণ করা হচ্ছে। তারাই জানিয়েছে ব্রিজ হয়ে গেলে রাস্তা দেবে। এছাড়া এ বিষয়ে জনপ্রতিনিধিদের সুপারিশ রয়েছে। ব্রিজ নির্মাণে বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষের কোন ইন্টারেষ্ট নাই।