নাটোর অফিস॥
জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে যক্ষèা প্রতিরোধে নাটোরে বিশ্ব যক্ষèা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টায় শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাটোরের সিভিল সার্জন ডাঃ রোজী আরা খাতুন। নাটোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নাটোর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারাজী আহম্মদ রফিক বাবন।
নাটাব জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনামুর রহমান চিনু এবং ব্র্যাকের এরিয়া ম্যানেজার আবুল বাশার জনসচেতনতা সৃষ্টিতে সংশ্লিষ্ট সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
গভায় বক্তারা বলেন, ফুসফুসের যক্ষèায় আক্রান্ত রোগীর হাঁচি, কাশি ও কথা বলার মাধ্যমে যক্ষèার জীবাণু পরিবেশে ছড়ায়। ঐ জীবাণু ভাসমান অবস্থায় সুস্থ্য মানুষের শরীরে প্রবেশ করে যক্ষèা রোগের বিস্তার ঘটায়। ফুসফুসের যক্ষèায় আক্রান্ত রোগীদের নিকটবর্ত্তী ব্যক্তিদেরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যক্ষèা সংক্রমণ প্রতিরোধে পরিবারের সবাইকে সময়মত যক্ষèা পরীক্ষা করানো উচিৎ। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারী হাসপাতালগুলো, বক্ষব্যাধি ক্লিনিকসমূহে বিনামূল্যে যক্ষèা পরীক্ষা করা হয় এবং চিকিৎসা ও ওষুধ দেওয়া হয়। নিয়মিত ও পূর্ণমেয়াদে ওষুধ সেবনে যক্ষèা সম্পূর্ণ ভালো হয়।
দুই সপ্তাহ ধরে কাশি, জ্বর কিংবা ওজন কমে যাওয়া, শরীরের যে কোন গ্রন্থি ফুলে যাওয়া, হাড়ের ব্যথা যক্ষèার লক্ষণ। এসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত যক্ষèা পরীক্ষা করানো উচিৎ।
সভায় আরো জানানো হয়, ২০২০ সালে দেশে সনাক্তকৃত যক্ষèা রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ৩০ হাজার ৮৮০ জন এবং যক্ষèায় অনুমিত মৃত্যুর সংখ্যা ৪৪ হাজার। ২০৩৫ সালে দেশে যক্ষèায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ শতাংশ এবং মৃত্যুর সংখ্যা ৯৫ শতাংশ কমিয়ে আনতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
ব্র্যাক এবং নাটাবের সহযোগিতায় জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসের মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করে। এরআগে বের হওয়া শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে।