নাটোর অফিস ॥
নাটোর জেলার ৫২টি ইউনিয়ন এবং আটটি পৌরসভার মোট ৯১ হাজার ২০০ পরিবার ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য সামগ্রী পাবেন। শনিবার সকালে নাটোরে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম সম্পর্কিত প্রেস ব্রিফিংএ এমন তত্য জানান জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। পবিত্র রমজান উপলক্ষে কাল রোববার থেকে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবি’র পণ্যসামগ্রী বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। শনিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসকশামীম আহমেদ বলেন, জেলার ৫২টি ইউনিয়ন এবং আটটি পৌরসভার মোট ৯১ হাজার ২০০ পরিবার উপকারভোগীর তালিকায় থাকছেন। এরমধ্যে করোনাকালীন সময়ে উপকারভোগীর সংখ্যা ৩৫ হাজার ২৪ জন এবং ৫৬ হাজার ১৭৬ জন নতুন উপকারভোগী। এই কার্যক্রমে প্রত্যেক পরিবার রোজার আগে ও পরে দু’দফায় ৫৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি করে চিনি, ৬৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি করে মসুরের ডাল, ১১০ টাকা লিটার দরে দুই লিটার করে সয়াবিন তেল পাবেন এবং রোজার মধ্যে ৫০ টাকা কেজি দরে দুই কেজি করে ছোলা পাবেন। জেলার ৫২টি ইউনিয়ন এবং আটটি পৌরসভা এলাকায় ৬০টি কেন্দ্রে বিক্রয় কার্যক্রম চলবে। তিনি বলেন, নির্ধারিত মানদন্ডের (নিম্ন আয়ের মানুষ) ভিত্তিতে উপকারভোগী বাছাইয়ের মাধ্যমে একটি তালিকা প্রণয়ন করে টিসিবি’র পণ্যসামগ্রী ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। জেলায় ২৯জন টিসিবি’র ডিলারের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৩৬৪.৮ টন করে চিনি, মসুরের ডাল ও সয়াবিন তেল এবং ১৮২.৪ টন ছোলার প্যাকিং কার্যক্রম এবং উপকারভোগীর তালিকা প্রণয়ন কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট কমিটির মাধ্যমে চলমান রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের কমিটি উপকারভোগীর তালিকা প্রণয়ন কাজ প্রায় শেষ করেছে। ইতিমধ্যে এই তালিকা প্রণোয়ন করা হয়েছে। কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সমাধা করতে প্রত্যেক উপজেলায় জনপ্রতিনিধিবৃন্দের সাথে উপজেলা প্রশাসনের ট্যাগ টিম কাজ করছে।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকার দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি বিবেচনা করে সাধারণ মানুষের কল্যাণে এই কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছে। সরকারের প্রদত্ত এই সুফল উপকারভোগী পরিবারে পৌঁছে দিতে প্রশাসন বদ্ধপরিকর।
প্রেস ব্রিফিংয়ে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ নাদিম সারওয়ার উপস্থিত ছিলেন।