নাটোর অফিস॥
নাটোরের লালপুরে ত্রিভুজ পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের জেরে জুয়েল হোসেনকে হাত-পায়ের রগ কেটে ও কুপিয়ে হত্যাকান্ডে প্রেমিকাসহ অভিযুক্ত তিন হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার লালপুরের দিলালপুর গ্রাম থেকে জিয়ারুলের স্ত্রী পরকীয়া প্রেমিকা সেলিনা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতে অভিযান চালিয়ে অপর প্রেমিক মেহেদী হাসান লিটন ও সেলিনার সৎ ছেলে মেহেদি হাসান নামে আরো দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যাবহৃত ধারালো দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপরে নাটোরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস বিফ্রিং এ এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, সেলিনা বেগমের সাথে মেহেদী হাসান লিটন ও জুয়েল হোসেনের ত্রিভুজ পরক্রীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। বিষয়টি নিয়ে সেলিনার সৎ ছেলে মেহেদি হাসান তার মায়ের প্রেমিক জুয়েলকে তাদের বাড়ীতে যাতায়াত করতে নিষেধ করে। কিন্তু জুয়েল তাদের কোন কথা মানতে নারাজ। এনিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই এক পর্যায়ে সেলিনা বেগম, লিটন ও মেহেদী হাসান জুয়েলকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন। সেই সুত্র ধরেই প্রেমকিা সেলিনা বেগম ৩ মার্চ রাতে জুয়েলকে বাড়িতে ডেকে নেয়। এক পর্যায়ে তাকে ঘুমের ঔষধ খাওয়ায়। জুয়েল ঘুমিয়ে পরার পর লিটন ,সেলিনা বেগম ও তার সৎ ছেলে মেহেদি ,একত্রিত হয়ে জুয়েলের হাত পায়ের রগ কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করে তার বাড়ির পাশের একটি জমিতে ফেলে রেখে আসে।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে প্রেরন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ রাতে জুয়েলকে হাত পায়ের রগ কেটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম ফেলে রেখে যায় হত্যাকারীরা। পরদিন ৪ মার্চ সকালে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুয়েলের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে নাটোর পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযানে নামে।