নাটোর অফিস॥
নাটোরের বড়াইগাম উপজেলার দাসগ্রাম ফাজিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেনীতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষন চেষ্টা মামলার অভিযুক্ত অধ্যক্ষ হযরত আলী (৬০) কে লালপুর থেকে আটক করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার সকালে লালপুর উপজেলার খাগড়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন জানান, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে বড়াইগ্রামের দাসগ্রাম ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হযরত আলী ৭ম শ্রেণী পড়ুয়া দুইজন ছাত্রীকে কাগজপত্র ভুল হয়েছে মর্মে ঠিক করার জন্য মাদ্রাসায় ডাকেন। ছাত্রীরা মাদ্রাসায় গেলে তাদেরকে নিজ অফিস কক্ষে ডেকে নেন। পরে এক ছাত্রীকে ১০০ টাকা দিয়ে দোকানে পাঠান। এ সময় শিক্ষক দরজা বন্ধ করে অপর ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ধস্তাধস্তির ফলে ভিকটিম চিৎকার করলে তিনজন ছেলে জানালা দিয়ে দেখে ফেলায় তিনি ওই ছাত্রীকে ছেড়ে দেন। ভিকটিম ও তার পরিবারের লোকজন সামাজিক মর্যাদা ও মান সম্মানের কথা চিন্তা করে বিষয়টি চেপে রাখলেও পরবর্তীতে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ে। এতে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বড়াইগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর (সং-০৩) এর ৯(৪) (খ), (ধর্ষণের চেষ্টা) মামলা দায়ের করেন। থানায় ওই মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ হযরত আলী গা ঢাকা দেন। থানায় মামলা হলে পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও অভিযানে নামে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৯ মার্চ রাতে নাটোর র্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা লালপুর উপজেলার খাগড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ হযরত আলীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরে তাকে বড়াইগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়