নাটোর অফিস॥
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতার আস্ফালন দেখিয়ে বিজয়ী হওয়া যায় না। নেতাগিরি, শ্লোগান ও ক্ষমতার আস্ফালন বন্ধ করতে হবে। আচরন ভালো হলে জনগন ভালো বাসবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের গর্ব নিয়ে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দেশের উন্নয়ন অব্যাহত থাকলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ বিজয় সুনিশ্চিত। চলতি বছরই দেশে অনেকগুলো মেগা প্রজেক্টের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে উন্নয়নের সুফল শীঘ্রই জনগণ পেতে শুরু করবে।
রোববার নাটোরে শংকর গোবিন্দ্র চৌধুরী স্টেডিয়াম মাঠে জেলা আওয়ামীলীগের ত্রিবাষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। এর আগে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭৫ ভাগ মানুষ ভোট দিয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কিছু বিশৃঙ্খলা হয়েছে যা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতার না হলে ভোটার উপস্থিতি আরও বাড়তো। অথচ যারা নির্বাচনে বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে কথা বলে তারা গত দুই দশকে এতো বেশি ভোটার উপস্থিতির নির্বাচন দেখাতে পারবেন না।
তিনি নাটোরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের আগের রাতে সহিংসতা প্রসঙ্গে বলেন ,যারা অপরাধ করছেন এবং দলের শৃংখলা নষ্ট করে বিশৃংখলা তৈরী করছেন তাদের প্রত্যেকের নামের তালিকা প্রধান মন্ত্রীর কাছে রয়েছে। যারা সম্মেলনের পূর্ব মুহর্তে বিশৃংখলা তৈরী করে দলের সুনামকে ম্লান করেছেন তারা কোন ভাবেই দলে স্থান পাবেন না। কোন চাঁদাবাজ,ভুমি দস্যু,দূর্ণিতীবাজ আওয়ামী লীগে প্রয়োজন নাই। যারা দুঃসময়ে দলের পাশে ছিল তারাই দলের জন্য থাকবেন। সুসময়ে কোন সুবিধাবাদী ও বসন্তের কোকিলরা দলে স্থান পাবেন না।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি চব্বিশ ঘন্টাই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে। নির্বাচন যতো সামনে আসে বিএনপি ততই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়। আন্দোলন ও নির্বাচনে বিএনপি ফেল করেছে। নেতিবাচক রাজনীতির কারনে জনগনের সমর্থন হারিয়েছে বিএনপি। তারা নির্বাচনে বিজয় উল্লাস করতে না পেরে হতাশ হয়ে গেছে। আসলে বিএনপির রাজনীতি খাদে পড়েছে। বিএনপি চোরাগোপ্তা পথে ক্ষমতায় আসার খোয়াব দেখছে। বিএনপি বলতে পারবে না কোন উন্নয়নের জন্য জনগন তাদের ভোট দেবে। বিএনপি দেশের উন্নতির জন্য কিছু করেনি। তাদের দক্ষ অগ্নিসংযোগে, দুর্নীতি আর অপপ্রচারে। বিএনপি আওয়ামী লীগকে হুমকি দেয়। বড় বড় কথা বলে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হলে বিএনপির লাফালাফি আর বেশিদিন থাকবে। আওয়ামী লীগ বিজয়ের তরীতে উঠলে বিএনপির লাফালাফি বন্ধ হয়ে যাবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুলের সঞ্চালনায় সম্মেলনে অনান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহি কমিটির সদস্য বেগম আখতার জাহান, প্রফেসর মেরিনা জাহান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রতœা আহমেদ প্রমুখ।
সম্মেলনে সকল প্রকার বিশৃংখলা এড়াতে সম্মেলন স্থল ও বাহিরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।