নাটোর অফিস ॥
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশে প্রযুক্তি উদ্যোক্তার সংস্কৃতি তৈরী হয়েছে। বর্তমান সরকার রেমিটেন্স যোদ্ধা হিসেবে ফ্রিল্যান্সারদের অসামান্য কাজের স্বীকৃতি হিসেবে আতœসম্মান ও স্বীকৃতি প্রদান করেছে। দেশের ৬৪ টি ইনকিউবিশন সেন্টারে তরুণ-তরুণীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে। তরুণরাই দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছেন । ফলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় ৪২ জন সফল ফ্রিল্যান্সারদের মাঝে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন প্রতিমন্ত্রী পলক।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এবং ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হুমায়ুন কবীর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ শহিদুল ইসলাম, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রতœা আহমেদ, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, সারাদেশ জুড়ে অসংখ্য প্লাটফর্ম তৈরী করে তথ্য প্রযুক্তি খাতকে বর্তমান সরকার শক্তিশালী স্তম্ভের উপর দাঁড় করিয়েছে। দেশে তিন লাখ উদ্যোক্তা ই-কমার্স খাতে কাজ করছেন। সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সারসহ ২০ লক্ষ তরুণের কর্মসংস্থান হয়েছে তথ্য প্রযুক্তি খাতে। দেশের ফ্রিল্যান্সাররা বর্তমানে ১.৩ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক সজীব ওয়াজেদ জয় এর ঐকান্তিক চেষ্টা, ২০২৫ সালের মধ্যে তথ্য প্রযুক্তি খাতে রপ্তানী আয় পাঁচ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
পলক আরো বলেন, করোনাকালীন সময়ে দেশের উদ্যোক্তারা বসে থাকেননি। বিদেশে না গিয়েও বিদেশী কোম্পানীতে স্বাধীন উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করেছেন, বৈদেশিক মুদ্রায় উপার্জন করেছেন। ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারী ৫৩ হাজার প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সফল চার হাজার ফ্রিল্যান্সারের হাতে জননেত্রী শেখ হাসিনা উপহার হিসেবে ল্যাপটপ তুলে দেওয়া হচ্ছে। অতীতের সরকারের মত তরুণদের হাতে অস্ত্র, মাদক আর কালো টাকা তুলে দেওয়ার সংস্কৃতি নয়, বর্তমান সরকার তরুণদের হাতে বিশ্বজয়ের হাতিয়াড় তুলে দিচ্ছে। ফ্রিল্যান্সারদের রেমিটেন্স যোদ্ধা হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি সাইবার যোদ্ধা হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।