নাটোর অফিস॥
নাটোরে বারি-১৮ জাতের সরিষা চাষ করে চমক সৃষ্টি করেছেন কৃষি উদ্যোক্তা আরিফুল ইসলাম। সদর উপজেলার হয়বত দিয়ার সাতুরিয়া গ্রামে নিজের প্রায় ১০ বিঘা জমিতে (২.৪৯ একর) এই নতুন জাতের সরিষা চাষ করেছেন বিসিক শিল্প নগরীর সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষি উদ্যোক্তা আরিফুল ইসলাম। উচ্চ ফলনশীল এই জাতের সরিষা অন্যান্য সরিষার চেয়ে ফলন বেশী এবং গাছের উচ্চতাও প্রায় ৫ ফুটের মত। গাছের কান্ডের পরিধিও বেশী। এসব কান্ডেও সরিষার শীষ বের হয়েছে। রোববার দিয়ার সাতুরিয়া গ্রামে এই উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষার জমি দেখতে বসেছিল সাংবাদিকদের মিলন মেলা । এছাড়া কৃৃষি বিভাগের উদ্দোগে আয়োজন করা হয় মাঠ দিবস।
কৃষি উদ্যোক্ত আরিফুল ইসলাম জানান, তিনি এই সরিষা লাগিয়েছেন ভাল ফলন পাওয়ার আশায়। এছাড়া সরিষা কর্তন করে ধান চাষ করবেন। এতে করে তার বাড়তি আয় হবে। যারা অন্য জাতের সরিষা চাষ করেছিলেন। তাদের জমি দীর্ঘদিন ফেলে রাখতে হয়। তার এই সরিষা চাষে খরচ হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার টাকা। এই সরিষা বিক্রি করে বর্কমান বাজার দর হিসেবে প্রায় ১লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। প্রতি বিঘায় তিনি ৮ মন সরিষা পাবেন বলে আশা করছেন। অন্য সরিষা প্রতি বিঘায় ৬ মনের বেশী হয়না। এছাড়া সরিষা কর্তনের পর জমি ফেলে রাখতে হবেনা। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহায়তায় তিনি এই বীজ গাজীপুর থেকে এনে রোপণ করেন। এবার তিনি নিজেই এই উচ্চ ফলনশীল জাতের বারি-১৮ জাতের চারা তৈরি করবেন। যাতে করে আগ্রহি কৃষকরা সহজেই এর বীজ পেতে পারেন।
এদিকে কৃষি মাঠ দিবসে অনুষ্ঠানে আসা এলাকার কৃষকরা জানান, বারি-১৮ জাতের সরিষার গাছ ও ফলন দেখে তারাও খুশী। আগামীতে তারা এই উচ্চ ফলনশীল জাতের এই সরিষা চাষ করবেন।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদুল ইসলাম বলেন, আমন ও বোরো ধান চাষের মাঝামাঝি সময়ে এই সরিষা চাষ করা হয়। সরিষা তেলের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়াতে বেশী বেশী জমিতে উচ্চ ফলনশীল সহ বিভিন্ন জাতের সরিষা আবাদ করা হচ্ছে। এই বারি-১৮জাতের উচ্চ ফলনশীল সরিষা এই এলাকা প্রথমবারের মত চাষ করা হয়েছে। আগামীতে এর বীজ নিতে অন্য এলাকায় যেতে হবেনা। এখানেই পাওয়া যাবে।