নাটোরঃ নাটোর রেলস্টেশনে আওয়ামী লীগের পথসভায় যোগ দিতে এসে রীতিমত বিস্মিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বক্তব্যর শুরুতেই তাই তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব শুধু বড় বড় কথা বলেন। তিনি বলে থাকেন, আওয়ামী লীগের নাকি ভোট কমেছে। অথচ এই নাটোরে আজ কি দেখলাম! চেয়েছিলাম পথসভা, সেটা হয়ে গেছে বিশাল জনসভা।
নির্বাচনী প্রচারণায় শনিবার ট্রেনে উত্তরাঞ্চল সফরের সময় নাটোর রেল স্টেশনে আয়োজিত এক পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এই বিশাল জনসমুদ্রে মানুষের জায়গা হতো না।বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যদি এখানে বক্তৃতা করতেন!
এর আগে ওবায়দুল কাদেরের পথসভা উপলক্ষে নাটোরে রেলের ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে লোকে লোকারণ্য ছিল। তাদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী। সকাল ৮ টা থেকে তারা এই প্ল্যাটফর্মে জড়ো হচ্ছেন।
ওবায়দুল কাদেরকে বহনকারী ট্রেন ‘নীলসাগর’ এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুপুর ১টায় নাটোর পৌঁছার কথা ছিল। তবে ট্রেন আসার অনেক আগে থেকেই নেতাকর্মীরা রেল লাইনের ওপর ও আশপাশে অবস্থান করতে শুরু করেন। ট্রেন আসতে দেরি হওয়ায় অনেককে রেললাইনের ওপর বসে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
স্থানীয় এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুলের অনুরোধ সত্ত্বেও নেতাকর্মীরা রেললাইনেই বসে থাকেন। তবে স্টেশনে অন্য ট্রেন পৌঁছলে বসে থাকা নেতাকর্মীরা রেললাইন থেকে উঠে পাশে দাঁড়ান।
এর আগে পথসভা উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা ভিড় করেন নাটোর শহরে। পথসভার আগেই যানবাহনের চাপে নাটোর শহরে তীব্র যানজট দেখা দেয়। শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই শহরের কানাইখালী, মাদ্রাসা মোড় স্টেশন বড়গাছা তেবাড়িয়া, বড় হরিশপুরসহ নাটোর-বগুড়া, নাটোর-রাজশাহী এবং নাটোর-ঢাকা মহাসড়কে যানজট দেখা যায়।
শত শত বাস, লেগুনা সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা ভ্যান এবং রিকশায় করে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা যোগ দিতে আসে পথসভায়।