নাটোর অফিস॥
নাটোরের গুরুদাসপুরে অনুষ্ঠিত চলনবিলের বর্তমান অবস্থা ও করণীয় বিষয়ক এক সভায় ‘চলনবিল রক্ষা না হলে দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারা চলনবিলের বিপর্যয় রক্ষার জন্য পরিবেশের স্বপক্ষ অন্যন্য শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মরতে বসা নদী ও বিলগুলোকে বাঁচাতে চক্রান্তকারীদের রুখে দিতে হবে। প্রয়োজনে জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলন করতে হবে।
গতকাল শনিবার গুরুদাসপুরের কাছিকাটা টোল প্লাজা সংলগ্ন রানীগ্রাম আরডিও পলিটেকনিকেল ইনস্টিটিউট চত্বরে চলনবিল রক্ষা বিষয়ক সাংগঠনিক সভায় বক্তারা এমন মন্তব্য করেন। চলনবিল রক্ষা আন্দোলন জাতীয় কমিটির সদস্য মো. আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল। চলনবিলের বর্তমান অবস্থা ও করণীয় বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র ও প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব মো. মিজানুর রহমান।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চারঘাট উপজেলার পরিবেশবাদী মো. আবুল কালাম আজাদ, বাঘার মো. ফরজ আলী,সিংড়ার ডেইজি আহমেদ, বাগাতিপাড়ার আব্দুল করিম, তাড়াশের আব্দুর রাজ্জাক রাজু, বড়াইগ্রামের অধ্যাপক আমিনুল হক মতিন ও ডি,এম আলম, গুরুদাসপুরের এম এম আলী আককাছ, চাটমোহরের কেএম বেলাল হোসেন, ভাঙ্গুড়ার গুলশানারা লিপি, ফরিদপুরের আব্দুল হাই, উল্লাপাড়ার এ,আর জাহাঙ্গীর, অধ্যক্ষ খায়রুল ইসলাম, বগুড়ার জিয়াউর রহমান, পুঠিয়ার মো. কয়েস উদ্দিন, রায়গঞ্জের দীপক কুমার কর, পাবনার আব্দুল হামিদ খান, হবিগঞ্জের তোফাজ্জল হোসেন সোহেল , সিলেটের আব্দুল করিম কিম প্রমুখ।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, “উন্নত দেশে প্রাকৃতিক পরিবেশ বনাঞ্চল ও জলাশয় রক্ষা করে ফ্লাইওভার করা হলেও আমাদের দেশে জলাশয়গুলো উন্নয়নের নামে খন্ড বিখন্ড করা হয়।” নদী-খাল-বিল বাঁচাতে স্থানীয় ইস্যুভিত্তিক গণ আন্দোলনে চলনবিলকে সংযুক্ত রাখতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।
সভার শুরুতে প্রয়াত পরিবেশবাদী গুরুদাসপুরের অধ্যাপক আতহার হোসেন, চাটমহরের ডা. অঞ্জন ভট্টাচার্য্য ও রায়গঞ্জের খোরশেদ আলমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
দিনভর সভাটি সঞ্চালনা করেন চলনবিল রক্ষা আন্দোলন গুরুদাসপুর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক এস এম মজিবুর রহমান মজনু।
উল্লেখ্য, চলনবিল অধ্যুষিত রাজশাহী,নাটোর, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও বগুড়া জেলার অন্তত ৫০জন পরিবেশবাদী অংশগ্রহণ করেন।