বড়াইগ্রাম: নাটোরের বড়াইগ্রামে জনি হোসেন (৬) নামে এক শিশু শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। আহত শিক্ষার্থী উপজেরার মাঝগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র এবং ঢুলিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। তাকে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মাঝগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিনা বানু বলেন, ‘বুধবার সকালে স্কুলের প্রথম শিপ্ট ছুটির পরে বন্ধুদের সাথে বাড়ি ফিরছিল জনি। এসময় স্কুলের পাশে পুকুরে বড়শি ফেলে মাছ ধরছিল মাঝগাঁও গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম। জনি কৌতুহল বসত পুকুরে ঢিল ছুরলে নজরুল তাকে বেদম মারপিট করে। খবর পেয়ে জনির বাবা ও প্রধান শিক্ষক তাকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
বুধবার বিকেলে বড়াইগ্রাম হাসপাতারে গিয়ে দেখা যায় জনি হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। উঠে দাঁড়াতে পারছে না। বাঁম হাত নারাতে পারছে না।
কর্তব্যরত চিকিৎষক খালিদ হোসেন বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে জনির বাঁম হাত ভেঙ্গে গেছে, কোমরের বাঁম পাশে গুরুতর আঘাত রয়েছে। এক্সরে করার জন্য বলা হয়েছে। এক্সরে রিপোর্ট দেখে প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাবে।
অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম মোবাইল ফোনে জানান, তিনি জনির চিকিৎসা বাবাদ ৯ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি মিমাংশা করে নিয়েছেন।
বড়াইগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলিপ কুমার দাস বলেন, এখনো কেই অভিযোগ করে নাই। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।