নাটোর অফিস॥
নাটোর পৌর সভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মিদের হামলা ও বিএনপির নেতা কর্মিদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সহ গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবী করেছেন স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী আলহাজ শেখ এমদাদুল হক (এমদাদ)। শনিবার দুপুরে শহরের উত্তর বড়গাছা এলাকায় নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবী জানানিয়েছেন তিনি। লিখিত বক্তব্যে শেখ এমদাদ অভিযোগ করে বলেন, তার নির্বাচনী প্রচারনায় আওয়ামীলীগ প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা বাধা দিচ্ছে,পোষ্টার লিফলেট ছিড়ে ফেলছে। তার প্রচার মাইক ভেঙ্গে দেওয়া সহ কর্মী ও সমর্থকদের ওপর হামলা করে মারপিট করছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ এমদাদুল হক নিজেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাবী করলেও ওই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নেতা কর্মিদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সহ গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবী করেন। এছাড়া নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ করতে ১০ টি দাবী উপস্থাপন করে তা বাস্তবায়নের দাবী জানান। লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব দাবী জানান। দাবীগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে প্রয়োজনীয় আইন শৃংখলা বাহিনী মোতায়েন করা। ভোটারা যাতে নিবিঘেœ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা সহ দল নিরপেক্ষ প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ এবং নির্বাচনী প্রচারনায় বাধা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার জনপ্রিয়তা দেখে নৌকার প্রার্থী ভয় পেয়ে দলীয় সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে তার প্রচারনায় বাধা প্রদান করছে। তাকে প্রাননাশের হুমকি সহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এসব বিষয়ে রির্টানিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত আবেদন করেও কোন প্রতিকার পাননি বলে উল্লেখ করেন। তিনি দৃঢ় কন্ঠে বলেন, কোন হুমকি ,ধামকি দিয়ে আমাকে নির্বাচন থেকে সরানো যাবেনা।আমি থেমে যাবার জন্য নির্বাচনী মাঠে নামিনি। আমার সাথে নাটোরের সাধারন মানুষ রয়েছে। তার যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে কোন ভয়ভীতি দেখিয়ে তা থামানো যাবেনা। ভোটের মাধ্যমে নাটোরের মানুষ অন্যায়ের জবাব দিবে বলে হুঁশিয়ারী করেন।
আওয়ামীলীগ মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র উমা চৌধুরী জলি বলেন, কোন প্রার্থীকে হুমকি ধামকি দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমার এবং আমার পরিবারের সুনাম ক্ষুন্ন করতে চান শেখ এমদাদুল হক । তিনি সহ তার দল বিএনপির নেতৃবৃন্দ আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে অভ্যস্থ। কোন প্রার্থীর প্রচারনায় আওয়ামীলীগের কোন নেতা কর্মী বাধা দেননি। বরং তার দলের এক শীর্ষ নেতা শেখ এমদাদ সাহেবের বিরুদ্ধে নির্বাচন বানিজ্যের অভিযোগ করেন। যা সামাজিক গণমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
জেলা নির্বাচন অফিসার আসলাম উদ্দিন জানান, তিনি এপর্যন্ত কোন প্রার্থীর কাছে থেকে এধরনের লিখিত অভিযোগ পাননি। কারো অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।