নাটোর অফিস॥
নাটোরের সিংড়ায় জমি ও পারিবারিক বিরোধের জেরে বড় ভাই বুদ্ধু ওরফে বুদার বিরুদ্ধে ছোট ভাই আফাজ আলী আপালকে (৩৩) লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার ২নং ডাহিয়া ইউনিয়নের বিয়াশ মাবিয়ার মোড় বাজার এলাকায় প্রকাশ্যে দিবালোকে এই গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। তবে গুলি লক্ষভ্রষ্ট হওয়ায় অল্পের জন্য রক্ষা পায় আফাজ আলী আপাল। ঘটনার পর বড় ভাই বুদ্ধু ওরফে বুদা পালিয়ে যান। বুদ্ধু ওরফে বুদা ও আফাজ আলী আপাল উপজেলার বিয়াশ চকপাড়ার মৃত রুস্তম আলীর ছেলে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করে। এঘটনায় এলাকায় থমথমে ও আতংক বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, জমি জমা ও পারিবারিক বিরোধের জের ধরে বড় ভাই বুদ্ধু ওরফে বুদার এবং ছোট ভাই আফাজ আলী আপালের দুই ভাইয়ের মধ্যে র্দীঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। গত ২৬ ডিসেম্বর স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে বড় ভাই বুদা পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এম আবুল কালামের ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে এবং ছোট ভাই আফাজ আলী আপাল নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান র্প্রাথী সিরাজুল মজিদ মামুনের নৌকার সর্মকথক হয়ে ভোট করায় দুই ভাইয়ের বিরোধ চরমে ওঠে। এরই জের ধরে শুক্রবার সকাল ৭ টায় মাবিয়ার মোড় বাজারে ছোট ভাই আপাল চা খেতে গেলে বড় ভাই বুদাসহ অপরিচিত ৪/৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল আপালকে টানা হেচরা করতে থাকে। পরে আপালের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে আপালকে লক্ষ করে গুলি বর্ষণ করে পালিয়ে যায় বুড়া ও তার দলবল। এসময় আপাল অল্পের জন্য প্রাণে বেচে গেলেও এলাকায় আতংকের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য তারেক হোসেন দুলাল ও স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল রাজাক ফকির ও গোলবার বলেন, আমরা ওই সময়ে ষ্টলে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ চিৎকার শুনে বাহিয়ে এসে দেখি অপরিচিত ৪/৫ জন লোক নিয়ে বুদা তার ভাইকে টানা হেচরা করছে। আমরা এগিয়ে যেতেই ছোটভাই আপলকে উদ্দেশ্য করে গুলি বর্ষণ করে বুদা ও তার দলবল পালিয়ে যায়।
ইউপি সদস্য তারেক হোসেন দুলাল আরও বলেন,বুদা এলাকার একজন র্শীষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এলাকার নিরাপত্তার জন্য তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
ডাহিয়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সিরাজুল মজিদ মামুন বলেন, সন্ত্রাসী যেই হোক তার কোন ছাড় নাই। এই শান্তির্পুণ এলাকায় প্রকাশ্যে এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা সহ সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি করেন।
ভুক্তভোগী আফাজ আলী আপাল বলেন, এর আগে তার বাড়ি ঘর লুট করা হয়। ছেলে-মেয়ে সহ নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে পুলিশ গুলিবর্ষণের কোন আলামত বা সত্যতা পায়নি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত বুদ্ধু ওরফে বুদার বাড়ি তল্লাশী করে তাকে পায়নি। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।