নাটোর অফিস ॥
নাটোরের সিংড়ায় ভোট গ্রহণের ৯ দিন পরে দু’টি স্থান থেকে দুই বস্তা সীলমারা ব্যালট পেপার উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা প্রথমে উপজেলার চামারী ইউনিয়নের বিলদহর মরা নদীতে বস্তাবন্দী সীলমারা ব্যালট পেপার উদ্ধার করে। এর কিছুক্ষণ পরে একই ইউনিয়নের বিলদহর বাজারের স’মিলের পাশে আরও এক বস্তা সীলমারা ব্যালট পেপার দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে তা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত ব্যালট পেপারে অধিকাংশ মোটরসাইকেল প্রতিকে এবং কিছু সংখ্যক নৌকা প্রতিকে সীলমারা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার সকালে বস্তাবন্দী সীলমারা ব্যালট পেপার দেখতে পেয়ে থানায় জানানো হয়। পরে পুলিশ সেগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তবে নির্বাচনের দিনের ব্যবহৃত ব্যালট পেপার আর উদ্ধার হওয়া ব্যালট পেপারের মধ্যে অমিল লক্ষ্য করা গেছে।
চামারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত ও নৌকার প্রার্থী রশিদুল ইসলাম মৃধা জানান, ব্যালট পেপার উদ্ধারের ঘটনা সত্য বলে শুনেছি।
চামারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত ও মোটরসাইকেল প্রতিকের প্রার্থী রবিউল করিম বলেন, নির্বাচনের দিনে কারচুপি করা হয়েছিল। আমার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল। আমাকে ষড়যন্ত্র করে পরাজিত করা হয়েছে। নিজেকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান দাবি করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
চামারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, ব্যালট পেপার উদ্ধারের ঘটনা শুনেছি, স্ব-শরীরে ঘটনাস্থলে যাইনি।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল আলম বলেন, ব্যালট পেপার উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে।
সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, সীলমারা ব্যালট পেপার ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম এম সামিরুল ইসলাম বলেন, উদ্ধারকৃত ব্যালট পেপার থানায় নেয়া হয়েছে। নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা’র সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ২৬ ডিসেম্বর ৪র্থ ধাপের নির্বাচনে সিংড়া উপজেলার চামারী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হাবিবুর রহমান ঘোড়া প্রতিকে ৭৩১৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রবিউল করিম মোটরসাইকেল প্রতিক নিয়ে ৪৪৭২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় ও রশিদুল ইসলাম মৃধা নৌকা প্রতিকে ৩৮২৯ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন।