নাটোর অফিস॥
নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ ও পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, সবাই নাটোরের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন দেখেছেন। নাটোর ও বাগাতিপাড়া পৌরসভার নির্বাচন জেলার সর্ব শেষ নির্বাচন। তাই ওই নির্বাচনে আচরণবিধি ও আইন-শৃংখলা বিষয়ে যথেষ্ট কঠোরতা গ্রহণ করা হবে। কেউ আচরণবিধি লংঘন করলে বা আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে নাটোরে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের নিয়ে জেলা প্রশাসনের আচরণবিধি ও আইন-শৃংখলা বিষয়ক সভায় এসব কথা বলেন ডিসি-এসপি। সভায় তারা বলেন বিগত সময়ে নাটোর সদর, বড়াইগ্রাম, লালপুর, বাগাতিপাড়া এবং সিংড়া উপজেলার ৩৯টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুরুপ নির্বাচন আয়োজনে প্রশাসন ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী বদ্ধপরিকর। উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আসলাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাটোর পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থী উমা চৌধুরী, স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী এমদাদুল হক আল মামুন প্রমুখ। এ সময় পৌরসভার নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা আচরণবিধি ও আইন মেনে চলার অঙ্গীকার করেন।
রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো আছলাম জানান ,আগামী ১৬ জানুয়ারি নাটোর পৌরসভার নির্বাচন ইভিএম মেশিনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে মেয়র পদে ছয়জন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৩ জন এবং কাউন্সিলর পদে ৬৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নাটোর পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ৬৪ হাজার ২৩৪ জন। ইতোমধ্যে নির্বাচনী আচরণবিধি এবং আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ আফরোজা খাতুন, নাটোর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খালিদ হাসানের নেতৃত্বে তিনটি ভ্রাম্যমান আদালত কাজ শুরু করেছে। আগামী ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।