নাটোর অফিস ॥
নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ দিঘাপতিয়া বালিকা শিশু সদনের আশ্রিত এতিম বালিকা ও নাটোর শিশু সদনের এতিমদের বিজয় দিবসের উপহার হিসেবে শীতের নতুন পোশাক জ্যাকেট দিয়েছেন। বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ স্বশরীরে দিঘাপতিয়া বালিকা শিশু সদনে যান এবং সেখানে আস্রিত প্রায় ৭০ জন এতিম বালিকাদের প্রত্যেককে শীতের নতুন পোষাক জ্যাকেট সরবরাহ করেন। তিনি কয়েকজন শিশুকে নিজ হাতে শীতের পোশাক জ্যাকেট পড়িয়ে দেন। একই সাথে তিনি বনবেলঘরিয়া শিশু সদনের শতাধিক এতিমদের মাঝেও এই শীতের নতুন পোশাক জ্যাকেট সরবরাহ করেছেন। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল ইসলাম,জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ সালেহ আল ওয়াদুদ, বালিকা শিশু সদন পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মোস্তাক আলী মুকুল উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শীতের নতুন পোশাক পেয়ে সদনের শিশুরা মহা খুশী হয়েছে।দিঘাপতিয়া বালিকা শিমু সদনের শিশু বালিকা আসরাফি, শাহিদা, আফিয়া, জমিলা সহ সদনের শিশুরা জানায়, সদনে থাকতে তাদের কোন অসুবিধা হয়না। খাওয়া বা থাকার জন্য কোন সমস্যা নেই এখানে। প্রতিবছরই তারা বিভিন্ন সংস্থা বা ব্যক্তিগত সহায়তা বাবদ কম্বল বা শীতের চাদর পেয়ে থাকি। তবে জেলা প্রশাসক মহোদয় এবার শীতের যে নতুন পোশাক হিসেবে জ্যাকেট দিয়েছেন। তিনি প্রত্যেককে একটি করে জাকেট দিয়েছেন। যা আমরা প্রথমবারের মত পেলাম। এই জ্যাকেট পেয়ে আমরা খুব খুশী হয়েছি।
দিঘাপতিয়া বালিকা শিশু সদনের পরিচালনা কমিটির সদস্য মনিমুল হক জানান, সদনের শিশুদের জন্য এবার প্রথমবারের মত প্রত্যেককে একটি করে হুডি জাতীয় জ্যাকেট সরবরা করা হয়েছে। যা শিশুরা প্রথমবারের মত এ্ধরনের জ্যাকে পেলো। এর আগে গায়ের চাদর বা কম্বল পেয়েছে তারা।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন,বিজয় দিবসের উপহার হিসেবে তিনি নাটোরের রাজাপুরে স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠা গার্মেন্ট কারখানা থেকে এসব শীতের পোশাক বানিয়ে এনেছেন। একদিকে এতিম সন্তানদের তিনি শীতের এই নতুন পোশাক দিতে পেরেছেন,তেমনি গ্রামীন এলাকায় গড়ে ওঠা গার্মেন্ট কারখানার মালিককে কিছুটা হলেও পিষ্ঠপোষকতা করতে পেরেছেন। নিজস্ব অর্থায়নে তিনি এসব করেছেন। এতিম শিশুরা তাকে বাবা বলে সম্বোধন করে থাকে। তাই তাদের শীতের নতুন পোষাক হিসেবে নতুন জ্যাকেট সরবরাহ করতে পেরে ভাল লাগছে।