নাটোর: তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রশাসনিক ও পেশাগত অদক্ষতা দূর্ঘটনা জন্য দায়ী। সড়ককে নিরাপদ করলে নাগরিকের জীবন নিরাপদ হবে। সড়ক, যোগাযোগ ও নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তার নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার।
সোমবার নাটোর সার্কিট হাউজে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকল্পে প্রস্তাবনা শীর্ষক সেমিনারে প্রধার অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
পলক বলেন, ‘সড়ক নয়, মানুষকে নিরপদ করতে হবে। সড়কে মানুষের নিরাপত্তার জন্য গাড়ি ও চালকের ফিটনেস নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য ডিস্ট্রিবিউটরদের রেজিস্ট্রেশন ছাড়া মোটরযান বিক্রি বন্ধ করতে হবে। এটি নিশ্চিতে মালিক, শ্রমিক ও প্রশাসনকে একযোগে কাজ করতে হবে।’
বাস মালিক সমিতিকে ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখার অনুরোধ করে পলক বলেন, ‘পুলিশকে সব কাজে দোষারোপ না করে সহযোগিতা করুন। শিক্ষকদের নিরাপদ সড়কের বার্তা শ্রেণিকক্ষে পৌছে দিতে হবে। নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নের জন্য সকল স্টেকহোল্ডারদের সম্মিলিতিভাবে একশন প্লান তৈরী করে কাজ করতে হবে।’
এছাড়া ফিলিং স্টেশনের মালিকদের তেল বিক্রির ক্ষেত্রে গাড়ির লাইসেন্স ও ফিটনেস চেকিংয়েরও অনুরোধ করেন পলক। থ্রি-হুইলার চালকদের প্রতি কঠোর না হয়ে মানবিকভাবে তাদের রুটি রুজির বিষয়টি দেখতেও পুলিশকে অনুরোধ করেন তিনি।
জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুনের সভাপতিত্বে সেমিনারে অনান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাটোর-৪ আসনের সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস, নাটোর-২ আসনের সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-১ আসনের সাংসদ আবুল কালাম, হাইওয়ে বগুড়ার অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, নাটোরের পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদারসহ বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, বাস-ট্রাক মালিক শ্রমিক, সাংবাদিকসহ সুধীজনরা। সেমিনারে সড়ক দূর্ঘটনা রোধে ২৪ দফা সুপারিশ পেশ করা হয় জেলা প্রসাসনের পক্ষ থেকে।
(জাগোনাটোর টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত সংবাদ সম্পাদকের বিনা অনুমতিতে হুবহু বা অংশবিশেষ অন্য কোন গণমাধ্যমে কপি করে প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকেত অনুরোধ করা হলো।)