নাটোর: নাটোরের লালপুরের কদিমচিলান এলাকায় দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহতের মামলার আসামি চ্যালেঞ্জার পরিবহনের চালক শামিম হোসেনকে (৪২) গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে শহরের স্টেশন রোড থেকে বগুড়া ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তাকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে সোপর্দ করা হবে বলে জানান বগুড়া ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর নূর-এ-আলম সিদ্দিকী।
নূর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘চ্যালেঞ্জার পরিবহনের চালক শামিম হোসেন জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার ক্ষেতলাল সরকারপাড়ার বাসিন্দা। তিনি বগুড়া শহরে মালগ্রাম এলাকায় বসবাস করেন। শনিবার (২৫ আগস্ট) বিকালে নাটোরের লালপুর থানার কদিমচিলান এলাকায় পাবনা-নাটোর মহাসড়কে বাসের সঙ্গে লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৫ জন যাত্রী নিহত এবং ২০-২৫ জন আহত হন। এ ঘটনায় নাটোরের বনপাড়া হাইওয়ে থানার এএসআই ইউসুফ আলী লালপুর থানায় ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আসামিরা হলেন-বনপাড়া হিউম্যান হল্যার (লেগুনা) মালিক সমিতির সভাপতি জাবেদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক জকির হোসেন, হিউম্যান হল্যারের মালিক শাহাদত হোসেন, নিহত চালক আমির হোসেন, নিহত হেলপার (অজ্ঞাত), চ্যালেঞ্জার পরিবহনের মালিক মঞ্জু সরকার এবং চালক শামিম হোসেন। মঙ্গলবার বেলা সোয়া ২টার দিকে এজাহার নামীয় আসামি চালক শামিম হোসেনকে বগুড়া শহরের স্টেশন রোড থেকে গ্রেফতার করা হয়।’
এর আগে গত রবিবার (২৬ আগস্ট) সকালে বগুড়া সদর ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর শেখ ফরিদ উদ্দিন শহরতলির গোকুল পশ্চিমপাড়ার বাড়ি থেকে আবদুল বারীর ছেলে চ্যালেঞ্জার বাসের হেলপার আবদুস সামাদ কমলকে গ্রেফতার করেন। এজাহারভুক্ত বাস মালিক মঞ্জু সরকারকে গ্রেফতার করা হলেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে তাকে অজ্ঞাত কারণে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। তার মোবাইল ফোন কর্মচারীরা ব্যবহার করছেন।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাটোরের বনপাড়া হাইওয়ে থানার এএসআই ইউসুফ আলী বলেন, দুর্ঘটনার পর লালপুর থানায় দু’জন নিহতসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৭৯, ৩৩৭, ৩৩৮ (ক), ৩০৪ (খ), ৪২৭, ১০৯ ধারায় মামলা করা হয়েছে।