নাটোর অফিস॥
নাটোরে দ্বিতীয় দফা গণটিকাদান কার্যক্রমেও মানুষের উপচেপড়া ভির। তবে উৎসবমুখর পরিবেশে এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বিশেষ গণটিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টায় শুরু হওয়া কার্যক্রম শুরুর পর সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স টিকাদান কেন্দ্রে এই কার্যক্রম পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। এসময় তিনি পরিদর্শনকারী প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধি টিকা গ্রহনে আগন্তুক ব্যক্তিদের সাথে কথা বলেন এবং টিকা প্রদানকারী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের স্বাস্থ্য সহকারী, পরিবার কল্যাণ সহকারী এবং কেন্দ্রের স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্বে নিয়োজিত গ্রাম পুলিশ ও যুব রেড ক্রিসেন্ট কর্মীদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। তাঁরা কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সকলকে উদ্বুদ্ধ করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ আফরোজা খাতুন, নাটোর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। এই কার্যক্রমে জেলার ৫২টি ইউনিয়নে ৭৮ হাজার ব্যক্তিকে টিকা প্রদান করা হবে। এরআগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর এই টিকাদান কার্যক্রমের প্রথম পর্যায় সম্পন্ন হয়।
দিঘাপতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর আলী প্রধান জানান, টিকাদান কার্যক্রমে জনসাধারণকে অবহিত করতে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। ওয়ার্ড মেম্বার, গ্রাম পুলিশবৃন্দও সহায়ক ভূমিকা পালন করেছেন।
সিভিল সার্জন ডাঃ কাজী মিজানুর রহমান জানান, জেলার ৫২টি ইউনিয়নে একযোগে টিকা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বুথ থাকছে। প্রত্যেক কেন্দ্রে দেড় হাজার ব্যক্তি টিকা গ্রহন করবেন। বয়স্ক ব্যক্তি, নারী এবং প্রতিবন্ধীদের টিকাদানে অগ্রাধিকার প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, সুষ্ঠুভাবে টিকাদান কার্যক্রম সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ ছাড়াও সাতটি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারী কমিশনার (ভুমি) টিকাদান কেন্দ্র সমূহে কার্যক্রম নিবিড়ভাবে মনিটরিং করছেন। এছাড়া কেন্দ্রসমূহে একজন সরকারি কর্মকর্তা ট্যাগ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। উৎসবমুখর পরিবেশে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণকরে টিকাদান কার্যক্রম চলছে।