এম কামাল মৃধা, সরেজমিনে ঘুরে
পথচারীকে বাঁচাতে লেগুনা রাস্তার মাঝে আসে। আর ওই সময়ই বাসটির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আহতদের কাছে থেকে খবর সংগ্রহ করে এমন তথ্য জানিয়েছেন বড়াইগ্রাম থানার এসআই তরিকুল।
নাটোরের লালপুর উপজেলার কদিমচিলান এলাকায় দুর্ঘটনার কারণ বর্ণনা করেছেন আহত যাত্রী, স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ প্রশাসন। সংশ্লিষ্টদের সাথে সরেজমিনে কথা বলে দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করা হয়েছে।
বনপাড়া পাটোয়ারী হাসপাতালের চিকিৎসাধীন নূর সেল হোসেন দূর্ঘটনার পর পরই আহত অবস্থায় ভর্তি হন। দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে তিনি জানান, তিনি লেগুনার যাত্রী ছিলেন। লেগুনাটি রাস্তার বামদিকে এক পথচারীকে সাইড দিতে রাস্তার মাঝে চলে যায়। এছাড়া ওই জায়গায় বামদিকে কিছুটা খানাখন্দ ছিল। রাস্তার মাঝে আসার সাথে সাথে বিপরীতমুখী চ্যালেঞ্জার বাসের সাথে সংঘর্ষ হয়।
দুর্ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী রাসেল জানান, তিনি ওই সময় ঘটনাস্থল পার হচ্ছিলেন। অকস্মাৎ বিকট শব্দ শুনে তাকাতেই দূর্ঘটনাটি দেখতে পান। তিনি দাবী করেন, দূর্ঘটনার কয়েক সেকেন্ড আগে চ্যালেঞ্জার বাসটি একটি অটোরিক্সাকে সাইড দিয়ে রাস্তার মাঝে ওঠে। এর পর পরই দূর্ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী রাসেল আরও জানান, দূর্ঘটনার পর পরই বাসটি রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। আর লেগুনাটি রাস্তার মাঝেই দুমড়ে-মুচড়ে পরে।
নাটোর দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বড়াইগ্রাম থানার এসআই তরিকুল দূর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পৌছে আহত ও নিহতদের পরিচয় সনাক্তর কাজে সময় ব্যয় করেন।
এসআই তরিকুল দাবী করেন, আহতরা তাকে জানিয়েছে, পথচারীকে বাঁচাতে লেগুনা রাস্তার মাঝে আসে। আর ওই সময়ই বাসটির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এসআই তরিকুল আরও জানান, ওই সময়ে কোন চালক মোবাইলে কথা বলছে এমন তথ্য কোন আহত বা প্রত্যক্ষদর্শী বা স্থানীয়রা তাকে বলেন নি।
নাটোর সড়ক দূর্ঘটনার তদন্তে ৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে, এখন পর্যন্ত ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। তদন্তের প্রতিবেদনে প্রকৃত সত্যতা জানা যাবে।