নাটোর: বিআরটিসির একটি পরিত্যক্ত বাস নিলামে কিনে নিয়ে সংস্কার করে সেটি ‘চ্যালেঞ্জার পরিবহনে’ নাম দিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন মঞ্জু সরকার। নাটোরের লালপুরে শনিবার মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহতের ঘটনায় দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি অনেক আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছিল বিআরটিসি।
২৬ আগস্ট, রবিবার দুপুরে বগুড়া শহরের মধ্য পালশা থেকে মঞ্জু সরকারকে পুলিশ আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য বের হয়ে এসেছে।
বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শেখ ফরিদ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি (ঢাকা মেট্রো-চ-৫৬৬৯) একসময় বিআরটিসির মালিকাধীন ছিল। কয়েক বছর আগে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ বাসটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে এবং নিলামে তুললে বগুড়ার মঞ্জু সরকার সেটি কিনে নেন। এরপর নতুন করে বডি লাগিয়ে এবং মেরামত করে রুটপারমিট ও ফিটনেস বিহীন অবস্থায় বগুড়া-কুষ্টিয়া রুটে যাত্রী পরিবহন শুরু করে।
আটক মঞ্জু সরকার পুলিশকে জানায়, তার বাসের চালক শামিমের বাড়ি শহরের মালগ্রামে এবং হেলপারকমলের বাড়ি সদরের গোকুল গ্রামে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ বাসচালক ও হেলপারকে গ্রেফতারে অভিযান চালায়। কিন্তু তারা পলাতক থাকায় তাদেরকে গ্রেফতার করা যায়নি।
বিআরটিসি বগুড়া বাস ডিপোর ম্যানেজার (অপারেশন) মফিজ উদ্দিন জানান, নিলামে কেনা বাস কোনো রুটে চলাচলের সুযোগ নেই। পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পরই নিলাম দেওয়া হয়। নিলামের পর ক্রেতা বাসটি ভেঙে ওজন দরে বিক্রি করার কথা।