নাটোর অফিস॥
মাত্র পাঁচ মাস আগে ভালোবেসে বিয়ে রাকিবুলকে বিয়ে করেন কিশোরী রুবি (১৬)। কিন্তু বিয়ের পরেই স্বামী রাকিবুলের আচরণ বদলাতে থাকে। নতুন পরিস্থিতি সামলাতে না পেয়ে মাথায় সমস্যা দেখা দেয়। প্রতিনিয়তই মাথা ব্যথা ভুগতেন। তবু যৌতুকের জন্য স্বামীর নিত্যদিনের চাপ। সইতে না পেরে মঙ্গলবার বাবার বাড়ীতে আসেন রুবি। দরিদ্র বাবার পক্ষে আবারও যৌতুকের টাকা দেয়া ছিল অসম্ভব। অবশেষে রাতে শয়ন ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আতœহত্যা করেন তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বৃধবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
কিশোরী রুবি উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের আটুয়া গ্রামের রাকিবুল ইসলামের স্ত্রী এবং গুড়–মশৈল গ্রামের ইনসের আলীর মেয়ে।
মাঝগাঁও ইউপির ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য বাবলু ফকির বলেন, পাঁচ মাস আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মেয়েটির মাথায় যন্ত্রনা শুরু হয়। মঙ্গলবার দুপুরে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে আসে। পরে রাতে শয়ন ঘরের তীরের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
রুবির চাচা আবুল কাশেম বলেন, বিয়ের সময় ৬০ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়া হয়েছিল। আরো ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল। মাঝে মাঝে স্বামীর সাথে দ্বন্দ হতো। তবে আজ কি হয়েছিল বলতে পারব না।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। তবে ময়না তদন্তের প্রতিবেদন আসার পর প্রকৃত ঘটনা জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।