নাটোর অফিস ॥
প্রতারনা করে প্রবাসীদের কাছে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে নাটোরের দুটি সহ তিন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ইমো হ্যাকার চক্রের ১২ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। বুধ ও বৃহস্পতিবার নাটোরের লালপুর ও বাগাতিপাড়া সহ রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে আটক করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা ইমো হ্যাকার চক্রের ১২ জনকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৮ জন লালপুর এবং ৪ জনকে বাগাতিপাড়া এলাকা থেকে আটক করা হয়।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ইমো হ্যাকার চক্র প্রবাসীদের টার্গেট করে প্রতারনার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিল। তাদের কিছু সদস্য পুলিশের হাতে আটক হলেও ছাড়া পেয়ে পুনরায় তারা এই কাজে জড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি বেশ কিছু গণমাধ্যমে ইমো হ্যাকারদের প্রতারনার সংবাদ প্রকাশিত হলে ১৯ সেপ্টেম্বর ম্যাজিস্ট্রেট নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবু সাইদ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে স্বপ্রনোদিত হয়ে পুলিশকে মামলা রেকর্ড করে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। ওই আদেশের প্রেক্ষিতে লালপুর থানার এসআই হাসান তৈফিক বাদি হয়ে তত্য প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা রেকর্ড করেন। ওই মামলা দায়েরের পর পুলিশ সুপার রিটন কুমার সাহার নেতৃত্বে তিনটি টিম গঠন করে অভিযান শুরু করেন। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান তিন উপজেলায় অভিযান লালপুর ও বাগাতিপাড়া এলাকা থেকে ১২ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় তাদের কাছে থেকে ১৮ টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান আটককৃতরা হলো লালপুরের গন্ডবিল গ্রামের রিয়াকত আলীর ছেলে আমিরুল ইসলাম জনি (২০),অমৃতপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ তারেকের ছেলে আতিক হাসান(২৩),আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে শিপন আলী (২৮), ইয়ার উদ্দিনের ছেলে সুমন আলীি(১৯),মহারাজপুর গ্রামের আমানুল প্রামানিকের ছেলে সিরাজুল ইসলাম মমিন (১৯), মোহরকয়া গ্রামের জমির উদ্দিনের ছেলে মোঃ লালন (২৫), একই গ্রামের ইয়ারুল াালরি ছেলে পাপ্পু আলী (১৯) ও বিলমাড়িয়া গ্রামের আতাহার মন্ডলের ছেলে আলম হোসেন (৩৮) এবং বাগাতিপাড়া উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে সনি াাহমেদ (২০), লালন মোল্লার ছেলে সুরুজ আলী (২০),গোলাম মোস্তফার ছেলে হারান অর রসিদ (১৯) ও শাজাহান আলীর ছেলে শিপর আলী (১৬)। আটককৃত সকলেই ইমো হ্যাকার ও প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইমো হ্যাক করে প্রতিদিন প্রবাসী সহ বিভিন্ন জনের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল।