এম কামাল মৃধা, কদিমচিলান ঘুরে
নাটোরের লালপুর উপজেলার সড়ক দুর্ঘটনার জন্য লেগুনা বা বাসের দুই চালকের কেউ-ই দায়ী নয় বলে মনে করছে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্য, রাস্তার ওপর দিয়ে চলা এক পথচারীকে বাঁচাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মধ্যরাস্তায় উঠে যায় লেগুনা। এ অবস্থায় বিপরীত দিক থেকে দ্রুতগতিতে আসা বাস সামনে লেগুনাকে দেখে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লেগুনাকে চাপা দেয়।
শনিবার (২৫ আগস্ট) বিকালে লালপুর উপজেলার কদমিচিলান এলাকায় বাস ও লেগুনার সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরও অন্তত ৩০ জন।
এ ঘটনার ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শী ওহিদুজ্জামান এবং জাহিদুল জানান, রাস্তার যে অংশে দুর্ঘটনা ঘটেছে, ওই অংশ খানাখন্দে ভরা। বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তার ওই অংশ ও এর পাশের পায়ে চলার পথটা কাদায় ভরে যায়। এ অবস্থায় এক পথচারী রাস্তার পাশ দিয়ে না গিয়ে রাস্তার ওপর দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাকে পাশ কাটাতে গিয়ে মাঝরাস্তায় উঠে যায় লেগুনা। এতে বিপরীত দিক থেকে দ্রুতগতিতে আসা চ্যালেঞ্জার পরিবহনের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লেগুনাকে চাপা দেয়।
তারা আরও জানান, ওই পথচারীকে পাশ কাটানোর আগে লেগুনাটি একটি ট্রাককেও ওভারটেক করে। এরপর লেগুনাটি পথচারীকে বাঁচাতে মাঝরাস্তায় উঠে গেলে এটিকে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়ে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায় বাস।
একই কথা জানান বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি জিএম শামসুন নূর। তিনি বলেন, ‘ঘটনার সময় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। এসময় কাদা এড়াতে রাস্তার বামদিক থেকে একজন পথচারী রাস্তার ওপর দিয়ে হাঁটা শুরু করেন। তাকে সাইড দিতে গিয়ে দ্রুতগতির লেগুনা রাস্তার মাঝ বরাবর চলে যায়। এদিকে, বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির বাসের চালক রাস্তার মাঝে হঠাৎ লেগুনা দেখে গতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়। এরপর মুখোমুখী সংঘর্ষ।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘এ অবস্থায় কোন চালককে দোষারোপ করবো, বলুন? আসলে এ দুর্ঘটনার জন্য দুই চালকের কেউ-ই দায়ী নয়।’