নবীউর রহমান পিপলু, আশরাফুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম, লালপুর থেকে
নাটোরের লালপুর উপজেলার কদিমচিলান কিলিক মোড় এলাকায় বাস-লেগুনা সংঘর্ষে ১৩ জন এবং অপরদিকে রাজ্জাক মোড় এলাকায় বাস ট্রাক সংঘর্ষে ১জন নিহত এবং অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে লালপুরের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৬ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের রাপচাঁদ প্রামাণিকের স্ত্রী শেফালী বেগম (৪৫), তাহের উদ্দিনের স্ত্রী রজুফা বেগম (৩৫), জামাইদিঘা গ্রামের নওফেল হোসেনের স্ত্রী লাগেনা বিবি (৫৫), মালিপাড়া গ্রামের লেগুনা চালক আব্দুর রহিম (৩০), রাজশাহীর চারঘাট থানার মীরকামারি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে শাপলা খাতুন (২০), টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলা সদরের রোকনুজ্জামান (৫৫)। অন্যদের পরিচয় এখনো জানাতে পারেনি পুলিশ।
শনিবার বিকেলে নাটোর-পাবনা মহাসড়কে এ দূর্ঘটনা ঘটে। বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিএম শামসুন নুর ঘটনাস্থল থেকে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহতদের সবাই লেগুনার যাত্রী ছিলেন।
ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন নাটোরের এডিএম রেজাজ্জাকুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আবুল হাসনাত ও বিআরটিএ নাটোরের সহকারী পরিচালক আশরাফুজ্জামান।
হাইওয়ে থানার এসআই তরিকুল ইসলাম ও নাটোর ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আক্তার হোসেন জানান, পাবনা থেকে বগুড়ামুখি চ্যালেঞ্জার পরিবহনের একটি বাস কদিমচিলান এলাকায় বিপরিতমুখি একটি লেগুনাকে সামনে থেকে চাপা দেয়। এতে লেগুনার সকল যাত্রী ছিটকে পড়লে চাপা পড়ে ২ শিশু, ৬ নারীসহ ১৩ যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এসময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সাথে ধাক্কা খায়। এতে বাসের অন্তত ১৫ যাত্রী আহত হয়। আহতদের মধ্যে ২ জনকে গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের বনপাড়ার বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
অপর দূর্ঘটনায় দুপুরে বড়াইগ্রাম উপজেলার রাজ্জাক মোড় এলাকায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে ট্রাক চালক বাবু হোসেন (৩০) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা গেছেন।