নাটোর অফিস॥
নাটোরের সিংড়ার বেদে পল্লী থেকে জীবিত জবাইকৃত ৪টি বক পাখি উদ্ধার করেছে পরিবেশকর্মীরা। মঙ্গলবার বেদে পল্লীতে অভিযান চালিয়ে আরও ৫টি বক ও মৃত ২টি পাতি সরালি ছানা উদ্ধার করে চলনবিল জীববৈচিত্র রক্ষা কমিটির সদস্যরা।
পরিবেশবাদী সংগঠন চলনবিল জীববৈচিত্র রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান, সিংড়া পৌর শহরের আত্রাই নদীর দহপাড় এলাকায় পারসিংড়া এলাকায় বেদে সম্প্রদায়ের বসবাস। অসচেতনার অজুহাত দিয়ে বার বার পাখি হত্যা করেও কিছু লোভী পাখি খাতক অপরাধ করেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় বেদে পল্লীর ২জন নারীকে ৪টি বক পাখি জবাই করে প্রকাশ্যে বাহবা নিতে দেখা যায়। এসময় পরিবেশ কর্মীরা কথা বলতে গেলে তাদের সাথে অশোভন আচারণ করা হয়। এর আগে গত ৩০জুলাই বেদে পল্লীতে পাতি সরালি (বালিহাঁস) ছানাগুলোর সামনেই মা পাখিকে জবাই করে হত্যা করে পল্লীর বাসিন্দা জনৈক পিয়ারুল। মঙ্গলবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৪ঘন্টা অভিযান চালিয়ে ওই বেদে পল্লী থেকে সেখান থেকে জীবিত ৫টি ও মৃত ২টি পাতি সরালি ছানা উদ্ধার করা হয়। এই পল্লীর বাসিন্দাদের অনেকেই প্রকাশ্যে প্রতিনিয়িত পাখি শিকার সহ পাখি হত্যা করছে। শুধু অসচেতন অজুহাত দিয়ে প্রায়ই পাখি হত্যা করেও ছাড় পেয়ে যাচ্ছে বেদে সম্প্রদায়ের এসব পাখি খাতক। এবিষয়ে প্রশাসনের প্রতি যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় পরিবেশ কর্মীরা।
চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সহ-সভাপতি মো. হাসান ইমাম বলেন, ‘পাখি শিকার ও হত্যা দন্ডনীয় অপরাধ’ এবিষয়ে একাধিক বার বেদে পল্লীতে লিফলেট বিতরণ ও সভা করা হয়েছে। এরপরও তাদের রোধ করা যাচ্ছে না।
সাবেক পৌর কাউন্সিলর মো. লাবু মিয়া বলেন, পাখি হত্যা বা খাওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য এর আগে একাধিক বার ওই মহল্লায় ঢোল সহরত দেয়া হয়েছে।
বর্তমান পৌর কাউন্সিলর সোহাগ আলী বলেন, এভাবে পাখি হত্যা দুঃখজনক বিষয়। পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম.এম সামিরুল ইসলাম বলেন, পাখি শিকার ও হত্যা রোধে দ্রুতই মাইকিং ও বিলবোর্ড স্থাপন করা হবে। এরপরও যদি অপরাধ করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।