নাটোর অফিস॥
পিতাকে রাজাকার বলায় নাটোরে এবার ৩ সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে মানহানি এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগ জেলা কমিটির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আহমেদ সেলিম, শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মলয় রায় এবং শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মেহেদী হাসান শুভকে অভিযুক্ত করে এই মামলাটি দায়ের করা হয়। বুধবার দুপুরে নাটোরের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এফ এম গোলজার রহমানের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নবঘোষিত স্বেচ্ছাসেবক লীগ জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট ইসতিয়াক আহমেদ ডলার। আদালতের বিচারক শুনানী শেষে আগামী ২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সিপিস-২, র্যাব-৫ নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরনে জানা যায়, গত ২৪ জুলাই জেলা আওয়ামীলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে অভিযুক্ত ওই তিনজন এবং এর পূর্বে আহব্বায়ক কমিটির ব্যানারে পৃথক দুটি সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। সংবাদ সম্মেলন থেকে লিখিত বক্তবে বর্তমান কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট ইসতিয়াক আহমেদ ডলারের পিতা মৃত মুন্সি আব্দুল হামিদ ওরফে সেনামিয়াকে স্বাধীনতা বিরোধী বা রাজাকার উল্লেখ করে এবং ডলারকে রাজাকারের সন্তান হিসেবে দাবী করেন তারা। এরআগে গত ২২ জুলাই শহরের ভবানীগঞ্জ মোড় এলাকায় পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ কার্যালয়ে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান শুভ ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মলয় রায় সংবাদ সম্মেলন করে ডলারের পিতা সোনামিয়াকে রাজাকার উল্লেখ করেন এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এ সকল ঘটনায় তার পিতার সুনাম নষ্ট করায় এবং তার পরিবারের সকলের সম্মান নষ্ট করে রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহব্বায়ক কমিটির সাবেক যুগ্ম আহব্বায়ক আহমেদ সেলিম,মলয় রায় ও মেহেদী হাসান শুভকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। এদিকে এই মামলায় অধুনালুপ্ত জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আরিফুর রহমানকে অর্ন্তভুক্ত না করায় সাবেক নেতৃবৃন্দের অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন,গত ২৪ জুলাই জেলা আওয়ামীলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেছেন সংগঠনের সাবেক আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আরিফুর রহমান।
বাদি ইশতিয়াক আহমেদ ডলারের আইনজীবি মালেক শেখ বলেন, সংগঠনের সাবেক আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আরিফুর রহমানের বিরুদ্ধে কোন তথ্য প্রমানদি না থাকায় তাঁকে মামলায় অভিযুক্ত করা হয়নি।