নাটোর অফিস॥
নাটোরের সিংড়ায় এক মানসিক প্রতিবন্ধি কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ঘটনার ৫ দিন পরে শুক্রবার রাতে ওই কিশোরীর বাবা সিংড়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আব্দুল গফুর খাঁ চান পলাতক রয়েছে ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, সংসারে অভাব থাকায় সিংড়া উপজেলার বিলদহর গ্রামের ১২ বছরের এক মানসিক প্রতিবন্ধি মেয়েকে প্রায় এক বছর পূর্বে পাশবর্তী রৌধি চামারি গ্রামের সাবেক শিক্ষক আব্দুল গফুর খাঁ চান এর বাড়িতে রেখে আসে প্রতিবেশী জনৈক পপি খাতুন। গত ৪জুলাই রাতে ওই প্রতিবন্ধি কিশোরীকে একা পেয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন বাড়ির কর্তা অভিযুক্ত সাবেক ¯কুল শিক্ষক। পরের দিন ওই ধর্ষিতা কিশোরী শারিরীক ভাবে অসুস্থবোধ করলে পরিবারের লোকজন তাকে গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। বিষয়টি কাউকে না জানাতে ধর্ষিতার পরিবারকে অভিযুক্ত ব্যাক্তির পক্ষ থেকে হুমকি-ধামকি দেয়া হয় । এ ঘটনা রাতারাতি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে ছুটিতে থাকা নৌবাহিনীর সদস্য ও ধর্ষিতার র্দুসম্পকের চাচা আলম হোসেন । পরে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর করা শুরু করলে শুক্রবার রাতে ভয়ভীতি ও হুমকি-ধামকি উপেক্ষা করে ধর্ষিতা কিশোরীর বাবা-মা থানায় রওনা হলে তাদের বাধা প্রদান করা হয়। এসময় পুলিশ থানা মোড় এলাকা থেকে ২জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আব্দুল গফুর জানান, রোববার মেয়ের বাবা এসে বলে একটা স্যালাইন করতে হবে । স্যালাইন পুশ করতে গিয়ে মেয়েটি ধর্ষণ হয়েছে বলে কানাঘুষা শুনি । আমি মেয়েটিকে সিংড়া থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পরামর্শ দিয়ে চলে আসি ।
এদিকে নৌবাহিনীর সদস্য আলম হোসেন জানান, ধর্ষণের মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। তাই আপোষরফা ও হয়নি । বাদী ও বিবাদী দুইজনই আমার নিকট আত্মীয় হওয়ার এলাকার কিছু দুষ্ট প্রকৃতির মানুষ আমাকে জড়ানোর চেষ্টা করছে ।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নুর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, ধর্ষিতা কিশোরীর বাবার পক্ষ থেকে রাতেই মামলা নেয়া হয়েছে। আর ওই কিশোরীকে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ঘটনা তদন্ত কর দেখা হচ্ছে।তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক থাকায় আটক করা সম্ভব হয়নি।