নাটোর অফিস॥
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের হামলাইকোল গ্রামের শরিফুল ইসলাম (৪০)। ভ্যান চালিয়ে সংসার চালানোর পাশাপাশি কিছু টাকা জমিয়েছিলেন। ওই টাকা দিয়ে বর্গা নিয়েছিলেন দুই বিঘা জমি। সেই জমিতে কুঁড়ি কচু চাষ করেছিলেন তিনি। স্বপ্ন বেধেছিলেন ফসল বিক্রি করে সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে নিয়ে আসবেন। আজ শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে জমিতে এসে দেখেন তার স্বপ্নের ফসল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছে।
শরিফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, তিনি ওই এলাকার রশিদ নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে এক বছরের জন্য দুই বিঘা জমি ৪ হাজার টাকা দিয়ে বর্গা নেন। জমি বর্গা নিয়ে কুঁড়ি কচু চাষ শুরু করেন। জমির মুল মালিক একই এলাকার আজিজুল হক। তার কাছ থেকে রশিদ ৫ লাখ টাকা দিয়ে কট রাখে। সেই রশিদের কাছ থেকেই তিনি ওই জমিটা বর্গা নিয়েছিলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে এসে জমিতে দেখতে পান তার ফসল গুলো বিষান্ত রাসায়নিক প্রয়োগ করে নষ্ট করা হয়েছে। এতে প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ফসল বিনষ্টের জন্য ক্ষতিগ্রস্থ শরিফুল ইসলাম অঙ্গুল তুলেছেন জমির মুল মালিক আজিজুল ও তার ভাই নজরুল ইসলামের দিকে। তার অভিযোগ জমির মালিক সহ তার ভাই জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করে ফসল বিনষ্ট করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী আলহাজ উদ্দিন বলেন, তার সামনেই কুঁড়ি কচুর জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করেন তারা দুই ভাই। অনেক নিষেধ করলেও তারা নিষেধ উপেক্ষা করে কীটনাশক প্রয়োগ করে চলে যান।
অভিযুক্ত নজরুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তার বড় ভাই আজিজল বিষয়টি জানে। তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবেননা।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।