নাটোর অফিস ॥
তিনজনকে টিন দেওয়ার শুধুমাত্র ফটো সেশন করেই ৬২ বান্ডিল ঢেউটিন বিতরনের খবর দিলেন লালপুর উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (পিআইও) মাহফুজুর রহমান। পরে সেই তিন জনের কাছ থেকেও টিন রেখে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। রোববার ঘটনাটি ঘটে লালপুর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ও ত্রাণ অধিদপ্তরের আওতায় ২০২০-২১ অর্থ বছরের জিআর প্রকল্পের আওতায় ৩৯টি পরিবারের মাঝে ৬২ বান্ডিল ঢেউটিন ও ১লাখ ১৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দকৃত সেই ঢেউটিন নাটোর জেলা সদর থেকে এখনও লালপুর উপজেলায় এসে পৌছেনি। অথচ রোববার সকালে নাটোর-১ (লালপুর-নাটোর) আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুলের মাধ্যমে তিন জনের হাতে টিন ধরিয়ে দিয়ে ফটোসেশন করিয়ে নেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান। অবশ্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) শাম্মী আক্তারও এসময় উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রকল্প অফিসার মাহফুজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ৩৯ টি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ৬২ বান্ডিল ঢেউ টিনসহ জনপ্রতি তিন হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে। রোববার কতজনকে ঢেউটিন ও টাকা দেওয়া হয়েছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং বলেন লিখে দেন ৩৯ জনকেই ঢেউটিন ও টাকা দেওয়া হয়েছে। বার বার সঠিক পরিমান জানতে চাওয়া হলে এক পর্যায়ে তিনি বলেন ‘এর চেয়ে বেশী কিছু বলতে পারবোনা।আপনার যা ইচ্ছে তাই লিখে দেন।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) শাম্মী আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বরাদ্দকৃত টিনগুলি জেলা থেকে সোমবার এসে পৌঁছেবে। টন আসার পরই ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর মধ্যে তিা বিতরণ করা হবে। তবে টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। রোববার তিন জনকে টিন দেয়া হয়। সেগুলো ফিরিয়ে নেয়ার বিষয় বা প্রকল্প কর্মকর্তা সাংবাদিকদের কি বলেছেন সেটা তিনি জানেননা বলে জানান।