নাটোর অফিস ॥
নাটোরের সিংড়ায় দুধের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় খামারীরা দুধ মাটিতে ঢেলে অভিনব প্রতিবাদ করেছে। শুক্র ও শনিবার গত দুদিন উপজেলার বাহাদুরপুর বটতলা এলাকায় প্রায় ৩০ জন খামারী দুধের ন্যয্য দাম না পেয়ে মাটিতে ঢেলে বাড়িতে ফিরে যান।
খামারিরা জানান, ক্রেতার অভাবে বর্তমানে তাদের ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে দুধ বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে করোনা প্রতিরোধে স্থানীয়ভাবে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। ফলে মিষ্টির দোকান বন্ধ থাকায় তারা দুধ কেনা বন্ধ রেখেছেন। ফলে পানির দামে তাদের বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে করে তারা লোকসানের মুখে পড়েছেন। বিশেষ করে খড় ও ভূষির দাম বেশি হওয়ায় কম দামে দুধ বিক্রি করে তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। গরুর খাবারের দাম উঠছেনা।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, সিংড়া উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে প্রায় ৬০০শ গরুর খামার রয়েছে। এই কামারকে ঘিরে গড়ে উঠেছে একাধিক বাজার ও হাট। খামারিরা তাদের খামারের গুরুর দুধ এসব স্থানীয় হাট ও বাজারে দুধ বিক্রি করেন। বাড়িতে পুষ্টির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি একজন খামারি মহাজনদের কাছে প্রতি দিন ৪০থেকে ৬০ লিটার দুধ বিক্রি করেন। কিন্তু লকডাউনের কারনে বাজার মন্দা থাকায় নিয়মিত মহাজন (ক্রেতা) না আসায় দুধ বিক্রি হচ্ছেনা। দুধ নিয়ে বুক ভরা কষ্ট নিয়ে তাদের বাড়ি ফিরতে হয় । এজন্য মিল্ক ভিটা গড়ে তোলার দাবি খামারীদের।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ খুরশিদ আলম জানান, কলম, চামারী, হাতিয়ান্দহ এলাকায় বহু খামারী আছে। চামারী ও হাতিয়ান্দহতে বেসরকারি ভাবে প্রান ও আরং দুগ্ধ ক্রয় করে। এছাড়া জেলার মিষ্টি ব্যবসায়ীরাও এসব খামারিদের কাছে থেকে দুধ ক্রয় করেন। কিšতু অব্যাহত রকডাউন চলার কারনে ক্রেতার সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া শুক্রবার কিংবা অন্যান্য ছুটির দিন দুধ ক্রয় বন্ধ থাকে। ফলে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অনেকেই খামার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। খামারিদের কথা চিন্তা করে ইতিমধ্যে উপজেলার ইটালী ও ডাহিয়া ইউনিয়নে সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুধ শীতলীকরন অর্থাৎ ক্রয় কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।