নাটোর অফিস ॥
সোমবার থেকে সারা দেশে কঠোর লকডাউনের আগাম ঘোষনায় শনিবার নাটোরের বিভিন্ন হাট বাজারে মানুষের ভির ছিল উপচে পড়ে। শনিবার সকাল থেকেই সব শ্রেণী-পেশার মানুষ নিত্য পণ্য কিনতে শহরের বাজারগুলোতে ভির করে। মানুষের উপচেপড়া ভির সামলাতে দোকানীকে হিমশিম খেতে হয়। স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন তোয়াক্কা করেননি অধিকাংশ মানুষ। নারী-পুরুষ সকলেই পণ্য কেনা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তাদের মধ্যে কি যেন একটা আতংক বিরাজ করছিল।নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নারী ক্রেতা জানালেন সোমবার থেকে কেউ বাড়ির বাহির হতে পারবেননা। সেনাবাহিনী ও বিজিবি টহল দিবে শুনেছেন। বাজার হাটও বসতে দেয়া হবেনা ক’দিন। নিত্যপণ্যের বাজার বসতে দেওয়া হবেনা এমন গুজবের কথা কোথায় শুনেছেন জানতে চাইলে তিনি উত্তর না দিয়ে সটকে পড়েন। পুরুষ ক্রেতাদের কেউ কথা বলতে রাজি হননি। ইত্যবসরে জানা গেলো বেলা ১২ টার মধ্যে শহরের বড় বাজার নিচাবাজারে মাছ.মাংস ও মুরগী শেষ হয়ে গেছে। খবর পেয়ে ছুটে গেলাম সেদিকে। খবর শতভাগ সঠিক। দুই একজন মুরগী বিক্রেতা বেচা কেনার হিসেব কষতে দোকানে বসে রয়েছেন। মুরগী ব্যবসায়ী সাধু বলেন, তার মজুদ প্রায় দেড় হাজার মুরগী ২/৩ ঘন্টার মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। বাজারে যে কজন মুরগী আড়তদার বা ব্যবসায়ী রয়েছেন ,তাদের সকলেরই মুরগী বিক্রি হয়ে গেছে।
মাছ বিক্রেতা বক্কার জানান, তার মাছ ১১টার মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। কোন পুজা- পারবনেও এমন ঘটনা ঘটেনি।
খাসির মাংস বিক্রেতা মুক্তার জানান, আজ ক্রেতাদের প্রচুর ভির ছিল। তাই সব কিছুইর চাহিদা বেমী ছিল।
গরুর মাংস বিক্রেতা সালামও জানালেন এমন কথা। অন্য দিনের তুলনায় ক্রেতাদের চাপ বেশী।
সবজি ব্যবসায়ী আয়চান আলী জানান. ক্রেতারা শুনেছেন লকডাউনের ক’দিন বাজার খোলা থাকবেনা। সেনাবাহিনী টহল দিলে বাজারে আসতে পারবেননা। তাই আগে ভাগেই বাজার সেরে নিচ্ছেন তারা।
এদিকে ক্রেতাদের কেউ কেউ অভিযোগ করেন ভিরের কারনে দোকানীরা তাদের পণ্যের দাম ইচ্ছামত হেকেছেন।
নিচাবাজারের আড়তদার বাবু জানান.নিছক গুজবের কারনে মানুষের ভির ছিল বাজারে। তবে কোন পণ্যের দাম বেশী নেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন,মানুষ গুজবেই বেশী আকৃষ্ট হয়। লকডাউনের বিষয়ে সরকারের নির্দেশনা হাতে পাওয়া মাত্রই তা প্রচার করা হবে। গুজবে কান না দেওয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।