নাটোর অফিস ॥
নাটোরে দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেয়েছে ১৩৮১টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করার পরই জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ নাটোরের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে রেজিস্ট্রি দলিল প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে হস্তান্তর করেন। সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলম,সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান,জেলা আওয়ামীলীগ সহ সভাপতি জজকোর্টের পিপি সিরাজুল ইসলাম,জেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ মোর্ত্তুজা আলী বাবলু, দপ্তর সম্পাদক দিলীপ কুমার দাস,সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ আনোয়ার হোসেন আনু, পৌর আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক হাবিবুর রহমান চুন্নু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল যুক্ত হন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ জানান, ‘মুজিববর্ষে কেউ গৃহ ও ভূমিহীন থাকবে না’- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ঘোষণা বাস্তবায়নে প্রথম পর্যায়ে নাটোর জেলায় সাতটি উপজেলায় ৫৫৮টি গৃহের জন্য ৯ কোটি ৮৪ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। বরাদ্দকৃত ৫৫৮টি গৃহ নির্মাণ পূর্বক উপকারভোগীদের মাঝে ইতিপুর্বে হস্তান্তর করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে নাটোর জেলায় বরাদ্দকৃত ১ হাজার ৩৮১ টি গৃহের জন্য ২৭ কোটি ২৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬১টি, সিংড়ায় ৬৮টি, গুরুদাসপুরে ১৩৫টি, বড়াইগ্রামে ১৬৬টি, লালপুরে ৫০ টি, বাগাতিপাড়ায় ১২০ টি এবং নলডাঙ্গা উপজেলায় ১০ টি ঘরের ওপর বরাদ্দ প্রদান করা হয়। স্থানীয় রাজনীতিবিদদের দিকনির্দেশনায় জেলায় বরাদ্দকৃত ১ হাজার ৩৮১ টি গৃহের নির্মাণ কাজ শেষে স্বস্ব উপজেলায় রোববার রেজিস্ট্রি দলিল প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে হস্তান্তর করা হয়। এসব ঘর প্রদানের আগে উপকারভোগীদের নির্বাচন, খাসজমি বন্দোবস্ত, কবুলিয়াত সনদ প্রদানের কাজ কাজ করা হয়। দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা প্রতিটি একক গৃহে একটি টয়লেট, একটি রান্নার কক্ষ ও একটি ইউটিলিটি স্পেস রয়েছে। আশ্রায়ন-২ প্রকল্পের অফিস থেকে প্রেরিত লেআউট ডিজাইন অনুযায়ী ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।
এদিকে উপকারভোগীরা প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। কেউ কেউ আনন্দে কেঁেদ ফেলেন। তারা প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করেন।