নাটোর অফিস ॥
নাটোর শহরের হরিশপুর এলাকা থেকে ১৪ দিন আগে নিখোঁজ সিএনজি ব্যবসায়ী ও জেলা সিএনজি মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ মানিক সরকারের (৩৯) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কের ধারে ঝোপের মধ্যে উপুড় হয়ে পড়ে ছিল মানিকের মৃতদেহ। রোববার বেলা ১১ টার দিকে স্থানীয়রা তা দেখে ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশে জানালে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করে পুলিশ। তবে হত্যার কারন জানাতে পারেনি পুলিশ। নিহত মানিক সরকার নাটোর পৌর এলাকার রামাইগাছি এলাকার বাসিন্দা বলে জানায় পুলিশ।
নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,রোববার পথচারীরা নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে মরদেহটি দেখতে পেয়ে ট্টিপল নাইনে ফোন করে জানায়। ওই ফোন পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। তার পরনের গেঞ্জি ও প্যান্ট দেখে নিহতের স্ত্রী লাশটি মানিকের বলে সনাক্ত করে। ৬ জুন বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি মানিক। ৭ জুন মানিকের স্ত্রী থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন। রোববার মানিকের লাশ উদ্ধারের পর নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। হত্যার রহস্য ও ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্তের জন্য পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানান তিনি।
এদিকে নিহত মানিকের স্ত্রী ফেসবুক আইডির পোষ্ট থেকে জানা যায়, শহরের ভবানীগঞ্জ এলাকায় মীম গদি ঘর নামে তার স্বামীর একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। তার স্বামী একজন সিএনজি ব্যবসায়ী। তিনি ছিলেন নাটোর জেলা সিএনজি মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ। গত ৬ জুন সকাল ১০টার দিকে তার স্বামী মানিক সরকার কোন এক ব্যক্তির ডাকে বাড়ির অদুরে সরকারী টেক্সটাইল ইনন্সটিটিউটের কাছে দেখা করতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। তিনি তার দুই সন্তান নিয়ে তার স্বামীর খোঁজ জানতে থানা সহ বিভিন্ন এলাকায় ১৩ দিন ধরে ছুটে বেড়িয়েছেন।
উল্লেখ্য ,নিখোঁজের ১৪ দিন পর ওই টেক্সটাইল ইন্সটিটিউটের কাছে থেকে মানিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।