নাটোর অফিস ॥
কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে নাটোরে বিশেষ লকডাউন দিয়েও থামানো যাচ্ছেনা করোনা সংক্রমনের উর্ধমুখি সংক্রমন। গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া সাতদিনের বিশেষ লকডাউনের শুক্রবার তৃতীয় দিন চলছে। এই লকডাউনের পরও গত ২৪ ঘন্টায় ১৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে ৮২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। জেলায় মোট আক্রান্ত ২১২৯ জন। সংক্রমনের হার ৫৩ শতাংশ। বৃহস্পতিবারের চেয়ে সংক্রমন বেড়েছে ২০শতাংশ বেশী।
এদিকে সদর হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত রোগীর শয্যা নিয়েও সংকট দেখা দিয়েছে। সদর হাসপাতালে কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড রোগীর জন্য ৩১ আসন রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ৩৯ রোগী ভর্তি রয়েছে। প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে আসনের অতিরিক্ত এবং মুমুর্ষ রোগীদের রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হচ্ছে।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও ) ডাঃ মনজুর রহমান আসন সংখ্যার বেশী কোভিড রোগী ভর্তি থাকার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রোগীর সংখ্যা বেশী হলে তাদের হাসপাতালের ইয়োলো জোন ওয়ার্ডে রাখা হয়। তবে আশা করা হচ্ছে আগামী রবি অথবা সোমবারের মধ্যে কোভিড রোগীদের জন্য আরও ১৯টি আসন বাড়ানো হবে। অথাৎ ৫০ আসনে উন্নীত করা হবে। হাসপাতালের নতুন ভবনের একটি অংশে সাধারন রোগীদের সরিয়ে নেয়া হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অপরদিকে করোনা সংক্রমন রোধে বুধবার থেকে শুরু হওয়া নাটোর ও সিংড়া পৌর এলাকায় ঘোষিত লকডাউনের তৃতীয় দিনেও শক্ত অবস্থান নিয়েছে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসনের একাধিক মোবাইল টিমও কাজ করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ৩৬ জনকে জরিমানা করা হয়।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানাতে জনগনকে প্রতিনিয়ত সচেতন করা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মানুষকে মাস্ক পরিধান করে চলাচল করা সহ লকডাউনের বিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে মাইকে প্রচারনা চালাচ্ছে। এই বৈশ্বিক মহামারি থেকে রক্ষা পেতে সকলকে সচেতন হতে হবে। সবাইকে ঘরে থেকে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। লকডাউনের বিধি মেনে সকলকে চলাচল করার আহ্বান জানান তিনি।