নাটোরন অফিস॥
জেলায় প্রাণিসম্পদের উৎপাদন সমৃদ্ধির জানান দিতে নাটোরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী। শনিবার বেলা ১১টায় নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারী কলেজ মাঠে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বৈচিত্রে ভরপুর হয়ে উঠছে জেলার প্রাণিসম্পদ অঙ্গন। প্রচলিত হাঁস-মুরগী, ছাগল, মহিষ, দুগ্ধ ও গরু মোটাতাজাকরণ খামারের পরিধি ও উৎপাদন বিগত বারো বছরে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন এক একটা গাভী ৩৫ লিটার দুধ দিচ্ছে, এক একটা গরু বারোশ’ কেজি মাংস দিচ্ছে। খামার গড়ে উঠেছে দেশীয় মুরগীর, গাড়লের, রকমারী কবুতর ও পাখির, বিভিন্ন প্রজাতির ঘাসের।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ গোলাম মোস্তফা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভা প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী, নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল সাকিব বাকী এবং দুগ্ধ খামারী মনসুর রহমান। উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সেলিম উদ্দিন স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
প্রদর্শনীতে আমিরুল ইসলামের বারোশ’ কেজি ওজনের অতিকায় গরু ‘কালাতুফান’ সকলের নজর কাড়ে। দর্শনার্থীরা আগ্রহী হয়ে ওঠেন আলীমুজ্জামান খানের দেশীয় মুরগীর প্রদর্শনী স্টলে। প্রদর্শনীতে হোসনে আরার পোল্ট্রি হ্যাচারী ছিল ঈর্ষনীয়। রকমারী পাখি আর কবুতরের স্টলগুলো দর্শনার্থীরা মুগ্ধ হয়ে দেখেন। তাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিল মিলকিং, চপার মেশিনসহ প্রযুক্তির স্টলগুলোতে।
উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সেলিম উদ্দিন জানান, প্রদর্শনীতে ৩০টি স্টল প্রদর্শন করা হচ্ছে। মূল্যায়ন শেষে বিকেলে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১৩ জনকে পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেন, সরকারের কার্যকরি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহনের ফলে বিগত বারো বছরে জেলার প্রাণিসম্পদের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটেছে। জেলার চাহিদা পূরণ করে জেলায় বাৎসরিক ২৩ হাজার টন উদ্বৃত্ত দুধ, ৬৬ হাজার টন উদ্বৃত্ত মাংস এবং এক কোটি ৪৫ লাখ পিস উদ্বৃত্ত ডিম উৎপাদন হচ্ছে।