নাটোর অফিস॥
নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ঐতিহাসিক ভেল্লাবাড়ীয়া হযরত বাগুদেওয়ান (রাঃ)এর মাজার মসজিদে ঈদুল ফিতরের ২ রাকাত নামাজ পরপর ২ বার ভূল পড়ানো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মুসল্লিরা। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টার সময় ঈদুল ফিতরের জামাতে ঘটনাটি ঘটে। এনিয়ে মুসল্লিদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
মাজার মসজিদ কমিটির সচিব ডাঃ আব্দুস ছাত্তার ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন,‘ ঈমাম নামাজ পড়ানোর সময় ভূল করলে আমার কিছুই করার ছিরনা। তিনি ভূল করলে মুসল্লিরা তাকে সংশোধন হওয়ার সুযোগ দিলে পরবর্তীতে সে সঠিক করে নামাজ পড়াবে। আর ৩য় বারে সঠিক করে নামাজ আদায় করাবেন বলে জানান ঈমাম।’ এনিয়ে মুসল্লিরা বিক্ষোভ প্রকাশ করলে লালপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সরকারী নির্দেশনা অনুযাযী করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টার সময় ঐতিহাসিক ভেল্লাবাড়ীয়া হযরত বাগুদেওয়ান রাঃ এর মাজার মসজিদে খায়রুল বাশারের ঈমামতিতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পবিত্র ঈদুল ফিতরের ২ রাকাত নামাজ পড়ানোর সময় পরপর ২ বার ভূল করেন ঈমাম খায়রুল বাশার। পরবর্তীতে ঈমাম ৩য় বার সঠিক করে নামাজ পড়ানোর কথা বললে মসল্লিরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে লালপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।’
এব্যাপারে স্থানীয় মুসল্লিরা জানান, ‘আমরা এই ঐতিহাসিক স্থানে এমন ইমাম চাই না, এখানে আমরা একটি ভালো ইমাম চাই।’ মুসল্লিদের অভিযোগ‘বর্তমান এখানে যে ইমাম রয়েছেন (খায়রুল বাশার) এখানে তার কোন নিয়োগ নাই। অস্থায়ী ভাবে ইমামতি করছেন।’এছাড়া এই মাজার মসজিদের সচিব ডাঃ আব্দুস ছাত্তার এর পরিচালনা দক্ষতার অভাব রয়েছে। আজকের ঘটনা ছাড়াও মাঝে মাঝে আরো অনেক ঘটনা ঘটে। আমরা আশা করি সচিবের পরিচালনা দক্ষ হলে এ সমস্যা গুলোর সমাধান ঘটবে।