নাটোর অফিস ॥
নাটোরে তরমুজের বাজারে ক্রেতা পর্যায়ে উর্ধ্বমুখী দর রোধ করা এবং মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের দৌরত্ব ঠেকাতে এবার মাঠ থেকে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি তরমুজ কিনে সহনীয় দামে বিক্রির ব্যবস্থা করেছেন জেলা প্রশাসন।
রোববার জেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় শহরের কানাইখালী এলাকায় কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের সামনে এই তরমুজ বিক্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোঃ শাজরিয়াজ এই তরমুজ বিক্রয় কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এসময় জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ বলেন, পবিত্র রমজান মাসে ইফতারের আবশ্যকীয় ফল হিসেবে তরমুজের চাহিদা বৃদ্ধির সুযোগে অসৎ ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে উর্ধ্বমুখী দর ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহনের পরও এই ধারা অব্যাহত থাকে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে জেলায় উৎপাদিত তরমুজ সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে ক্রেতা পর্যায়ে ন্যায্যমূল্যে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়ে এর বাস্তবায়ন করা হলো। এরফলে কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাবেন এবং ক্রেতারাও তুলনামূলক কম দামে এই মৌসুমী ফলের স্বাদ গ্রহন করতে পারবেন। আকার ভেদে সর্বনিম্ন ২৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা কেজি দরে কৃষকরা সরাসরি এখান থেকে তরমুজ বিক্রি করবেন । আমরা আশাকরি ন্যায্যমূল্যে এই তরমুজের বিপনন কার্যক্রম চালু করায় অসাধু মধ্যস্বত্বভোগীদের কারসাজি বন্ধ হবে এবং তরমুজের বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরে উপপরিচালক সুব্রত কুমার সরকার , অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাদিম সারোয়ার,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( রাজস্ব) আশরাফুল ইসলাম,পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি সহ জেলা প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক সুব্রত কুমার সরকার বলেন, জেলায় চলতি মৌসুমে ৮৬৮ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে । মোট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৬ হাজার ৫শ’ টন।
জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) জুয়েল আহমেদ জানান, প্রথম দিনে মোট চার টন ওজনের ৮০০ পিস তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে। পাঁচ কেজি পর্যন্ত এক একটি তরমুজ ৩৫ টাকা কেজি দরে এবং পাঁচ কেজির বেশী ওজনের তরমুজ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়। ক্রেতার চাহিদা বিবেচনায় প্রতিদিনের তরমুজ বিক্রয়ের পরিমাণ প্রয়োজনে বাড়বে। গোটা রমজান মাস জুড়ে এই বিপনন কেন্দ্র চালু থাকবে।