নাটোর অফিস॥
নাটোরের বাগাতিপাড়ার মেধাবী শিক্ষার্থী ইভা খাতুনের মেডিকেল কলেজে পড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিভিন্ন দৈনিক সহ সোস্যাল মিডিয়া ও গণমাধ্যমে মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়েও ভর্তি নিয়ে ‘দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে ইভা খাতুনের’ প্রকাশিত এমন সংবাদ চোখে পড়ে প্রতিমন্ত্রী পলকের। তিনি ব্যক্তিগতভাবে ওই শিক্ষার্থীর পড়ালেখার যাবতীয় দায়িত্ব নেন। বৃহস্পতিবার নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার সলইপাড়া গ্রামের ঝরনা বেগম ও মৃত ইউসুফ আলীর মেয়ে ইভা খাতুনের সঙ্গে মোবাইলফোনে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ।
ইভার মা ঝরনা বেগম প্রতিমন্ত্রী পলকের প্রতিশ্রুতির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রতিমন্ত্রী নিজে কথা বলে তার মেয়ে ইভা খাতুনের মেডিকেলে পড়ার দ্বায়িত্ব নেওয়া সিদ্ধাস্ত জানান। প্রতিমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি জানার পর তার দুঃশ্চিন্তা কেটে গেছে। তার মেয়ের চিকিৎসক হওয়ার আর কোন বাধা নেই। তিনি আরও জানান,ইতিমধ্যে বাগাতিপাড়ার ইউএনও প্রিয়াংকা দেবী পাল ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট এ্যাসোসিয়েন অব নাটোর (পুসান) এর পক্ষ থেকেও ইভার মেডিকেলে ভর্তির বিষয়ে সহায়তার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার সলইপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র ঝরণা বেগম ও মৃত ইউসুফ আলীর মেয়ে ইভা খাতুন চলতি বছর মাগুরা মেডিকেল কলেজে ভর্তি সুযোগ পেয়েছেন । কিন্তু মেডিকেলে ভর্তি ও পড়ালেখা চালানোর আর্থিক সামর্থ্য নেই তার পরিবারের। ফলে তার পড়ালেখা ও চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এনিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এধরনের খবর চোখে পড়লে ইভা খাতুনের মেডিকেলে পড়ার দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহম্মেদ পলক।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ইভার ডাক্তার হওয়ার জন্য যা যা সহযোগিতা দরকার আমি তা ব্যক্তিগতভাবে করতে চাই। আমি বেঁচে থাকলে তার ডাক্তারি পড়ায় কোনো সমস্যা হবে না।