নাটোর : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ‘একটি প্রত্যন্ত অঞ্চল কিভাবে উন্নয়নের স্পর্শে জেগে উঠতে পারে, তা আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সিংড়ায় না এলে জানা হতো না। এই উপজেলার প্রত্যন্ত ও দূর্গম এলাকাগুলোতে উন্নয়নের আলো পৌছানো যেতে পারে তবে দেশের সব পিছিয়ে পড়া এলাকায় কেন পারা যাবে না। এ ক্ষেত্রে সিংড়া হবে দেশের রোল মডেল।’
শুক্রবার রাত ৮টায় সিংড়া পৌর মিলনায়তনে ‘টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা’য় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রভাবশালী এ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ‘ সিংড়ায় যেভাবে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে, সেটি জেলার প্রতিটি জনপ্রতিনিধি ও সরকারী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নকারীদের জানা উচিত।’ প্রতিটি ধারণা ছড়িয়ে দিতে আগামীতে সিংড়ায় জেলা উন্নয়ন কমিটির সমন্বয় সভার নির্দেশ দেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নত জীবনযাপন নিশ্চিতে নিরলসভাবে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে ২০৪১ সালে দেশ উন্নত দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে। যা ছিলো সম্ভব না, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেগুলোকে করেছেন ‘সম্ভাবনা’। টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষিত জনশক্তি দরকার। সরকার সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে।’
সিংড়া উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার আয়োজনে কর্মশালায় অনান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন, পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো, পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম, উপজেলা আ’লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রুহুল আমিন প্রমুখ।
ডিজিটাল বাংলাদেশে এসডিজি বাস্তবায়নে ইন্টারনেটের অপরিহার্য গুরুত্ব তুলে ধরে কর্মশালার শুরুতে ফ্রিলান্সিংয়ের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়া তরুণ উদ্যোক্তারা ভবিষ্যতে ইন্টারনেট সেবাকে আরো সহজলভ্য করার অনুরোধ করেন সরকারের কাছে।